×

সাহিত্য

অসাম্প্রদায়িক চেতনার সমর্থক ছিলেন জসীম উদ্দীন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম

অসাম্প্রদায়িক চেতনার সমর্থক ছিলেন জসীম উদ্দীন

পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের জন্মদিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘জসীম উদ্দীন: মানবিকতার মহান কবি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ছবি: ভোরের কাগজ

জসীম উদ্দীন ছিলেন প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী এবং সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার একজন দৃঢ় সমর্থক। তার রচনায় এক বিস্ময়কর মানবপ্রেমী বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। তিনি সবসময় সহানুভূতিশীল ছিলেন নিপীড়িত ও অবহেলিত মানুষের প্রতি। বিশেষকরে দরিদ্র কৃষক, দিনমজুর ও রাখালের প্রতি তার অসম্ভব মমতা লক্ষ্য করার মতো। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা বাংলার হিন্দু-মুসলমান উভয় সমাজের মানুষের জীবনকে তিনি অসামান্য দরদে উপস্থাপন করেছেন এবং সমাজ বাস্তবতায় মানুষের জাগতিক দুঃখের রূপায়ণ করেছেন নিপুণভাবে। 

সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের জন্মদিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘জসীম উদ্দীন: মানবিকতার মহান কবি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কীপার আসমা ফেরদৌসি। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জসীম উদদীন বহুমুখী আধুনিক ব্যক্তিত্ব এবং একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, নাট্যকার, স্মৃতিকথক, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক ইত্যাদি বহুবিধ পরিচয়ে পরিচিত। তার ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ ১৯৪০ সালের মধ্যেই একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৬৯ সালে ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ ইউনেস্কোর অনুবাদ প্রকল্পে দ্বিতীয় গ্রন্থ হিসেবে অনূদিত হয়েছে। 

বক্তারা আরো বলেন, গ্রামীণ জীবনযাপন এবং পরিবেশ-প্রকৃতিকে সাহিত্যে ফুটিয়ে তোলার বিশেষ সুখ্যাতি তাকে পল্লী কবির উপাধি এনে দিয়েছে। তার কবিতা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং অসংখ্য পল্লীগীতি এখনো গ্রাম বাংলার মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। যেমন- আমার হার কালা করলাম রে, আমায় ভাসাইলি রে, বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে ইত্যাদি। তিনি কেবল কবিতার জন্যই খ্যাতি অর্জন করেননি। তার অসংখ্য গল্প, উপন্যাস, নাটক, জীবনী গ্রন্থ ও লোক-সাহিত্য গ্রন্থগুলিও অনেক খ্যাতি অর্জন করেছে। 

তিনি বাংলার মানুষের জীবন-কর্ম নিয়ে অনবদ্য সৃষ্টি করে অমর হয়ে থাকবেন কাল থেকে কালান্তরে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App