×

সাহিত্য

মুনতাসীর মামুনের মায়ের করোনা জয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২০, ০৮:১৫ পিএম

ইতিহাসবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনের ৮৫ বছর বয়সী মা জাহানারা খান করোনা জয় করে বাসায় ফিরেছেন। তিনি ২০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মায়ের সেবা করতে গিয়ে মুনতাসীর মামুনও করোনায় আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন। জাহানারা খানের করোনা জয় করে বাসায় ফেরার তথ্যটি ভোরের কাগজকে নিশ্চিত করলেন মুনতাসীর মামুনের মেয়ে সাংবাদিক রয়া মুনতাসীর।

রয়া মুনতাসীর আরও জানান, জাহানারা খান দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তার শ্বাস কষ্টেরও সমস্যা রয়েছে। তবে তা মাঝে মধ্যেই হতো। এছাড়া দশ বারো বছর আগে তার ওপেন হার্ট সার্জারিও করা হয়েছিল।

তবে রয়া মনে করছেন, তার দাদু প্রবল মানসিক জোর এবং ‘লাক’ (ভাগ্যের জোরে) এর কারণেই বেঁচে গেছেন। এই বয়েসেও তিনি সব কিছু নিজে নিজেই করে থাকেন। তিনি এখন বাসায় স্বাভাবিক খাবারই খাচ্ছেন, কথা বার্তাও স্বাভাবিকভাবেই বলছেন। তবে এখনও একটু দুর্বল বলে কারো সাহায্য নিয়েই হাঁটছেন। সাধারনত তিনি স্বাভাবিকভাবেই হাঁটা চলা করেন। গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে জাহানারা খানের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতেই জাহানারা খানকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম পরীক্ষায় ফল পজিটিভ এলেও পরবর্তী দুটি পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। গত ৮ মে তিনি বাসায় ফিরেছেন। ৮৫ বছর বয়সে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে এই প্রথম কেউ সুস্থ হলেন। রয়া মুনতাসির আরও জানান, বাবা ও দাদি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর পরিবারের বাকি সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সবার ফলাফলই নেগেটিভ এসেছে।

এদিকে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের শারীরিক অবস্থাও আরো উন্নতি করেছে বলে জানা গেছে। তিনি এখন কেবিনে অবস্থান করছেন। রয়া মুনতাসীর বলেন, বাবা এখন ভালো আছেন। মুখে খাবার খেতে পারছেন। স্বাভাবিকভাবে হাঁটা চলাও করছেন।

করোনার উপসর্গ নিয়ে অধ্যাপক মামুন গত ৩ মে বিকেলে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন রাত ১টার দিকে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ৭ মে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) স্থানান্তর করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App