×

সাহিত্য

সাম্য মৈত্রী ও সম্প্রীতির ধ্বণি তুললেন শিল্পীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম

সাম্য মৈত্রী ও সম্প্রীতির ধ্বণি তুললেন শিল্পীরা

ছবি:ভোরের কাগজ

দুই বাংলার অভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং জনগণের মধ্যে সাম্য মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করার লক্ষ্য নিয়ে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজিত হয়ে আসছে গত ১১ বছর ধরে। যার সূচনা ঘটিয়েছিল কলকাতায় অনীক থিয়েটার। তারা প্রথম গঙ্গা যমুনা উৎসব শুরু করে। তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশেও এ উৎসব শুরু করা হয়। এবারের ১২তম আসরে দুই দেশের চার হাজারেরও বেশি সংস্কৃতি কর্মীর অংশগ্রহণে বাংলাদেশ-ভারতের ১৪৫টি দল ও ৪ হাজার সাংস্কৃতিক কর্মী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ভারত থেকে ৬টি দলের প্রায় ১০০ সাংস্কৃতিক কর্মী অংশ নিচ্ছে। যাদের পদচারণায় মুখর রাজধানীর সাংস্কৃতিক অঙ্গন। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) উৎসবের ৭ম দিনেও শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গন থেকে বেইলী রোড উৎসবের আলোয় যেন ঝলমল করছিল। এদিন বিকালে উন্মুক্ত মঞ্চের অনুষ্ঠান শুরু হয় একক আবৃত্তি। এরপর শিশু সংগঠন ‘স্বরতরঙ্গ আবৃত্তি ভুবন’ পরিবেশনা করে দলীয় পরিবেশনা, দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে ‘আনন্দন’, দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে ‘কথাশৈলী আবৃত্তি চক্র’ ও ‘স্বরকম্প’, দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে ‘পরশমনি কলা কেন্দ্র’ ও ‘নান্দনিক নৃত্য সংগঠন’, পথনাটক পরিবেশন করে ‘উৎস নাট্যদল’। এসব পরিবেশনার মধ্য এর মধ্য দিয়ে যেন সাম্য মৈত্রী ও সম্প্রীতির ধ্বণি তুললেন শিল্পীরা। এ ছাড়া সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে নাট্যকেন্দ্র’র ১৬তম প্রযোজনা ‘তীর্থযাত্রী’ মঞ্চায়ণ হয়। এর মূল রচনা ও নাট্যরূপ দিয়েছেন হুমায়ুন কবির। নির্দেশনা দিয়েছেন তৌকির আহমেদ। ‘তীর্থযাত্রী’ নাটকটির গল্পে উঠে এসেছে যুদ্ধ শেষে ক্লাব অফার তিন সৈনিক নাম থাকে বিরান প্রান্তরে। তাদের কোনো যাবার জায়গা নেই, যুদ্ধে সব হারিয়েছে তারা। এই ভিন্ন তিনজন মানুষ অবতীর্ণ হন এক যাত্রায়, তাদের লক্ষ্য জীবনের মানে খুঁজে পাওয়া। মাঠ প্রান্তর পাহাড় নদী পেরিয়ে তারা হেঁটে চলে, নতুন মানুষ, নতুন স্থান, নতুন রীতি, তাদের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির সুবে উন্নীত করে। তাদের তর্কও এগিয়ে চলে জীবন মৃত্যু, জয়-পরাজয়, ভালো-মন্দ, জ্ঞান, জ্ঞানের গর্ব, স্বাধীনতা বা অধিকার, শান্তি-সংঘাত সব কিছুই উঠে আসে তাদের তর্কে। কিন্তু শেষ হয় না তাদের পথ চলা। এই পথচলা যেন আমাদেরই জীবনজিজ্ঞাসা আমরা সবাই যেন সেই তীর্থযাত্রী। একই সময়ে পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ণ হয় চট্টগ্রামের নাট্য সংগঠন প্রতিভাস এর প্রযোজনা ‘জয়া প্রজায়িনী’। নাটকটির মূল সফোক্লেস এর রাজা ইডিপাস। নাট্যরূপ দিয়েছেন সলিল সরকার নির্দেশনায় ছিলেন মুনির হেলাল। স্টুডিও থিয়েটার হলে কারিশমা সাংস্কৃতিক দলের প্রযোজনা ‘বাল্মিকী প্রতিভা’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন মোঃ আমির হোসেন ও নূপুর নাহার। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে কণ্ঠশীলন এর প্রযোজনা ‘তাজমহলের টেণ্ডার’। অজয় শুক্লা রচিত নাটকটির অনুবাদ করেছেন সফিকুন্নবী সামাদী এবং নির্দেশনা দিয়েছেন মীর বরকত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App