‘মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো’- প্রতিপাদ্যে শুরু হওয়া বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার দুই দিনের রবীন্দ্র স্মরণানুষ্ঠানের সমাপনী সন্ধ্যা শুরু হলো সম্মেলক গানের মধ্য দিয়ে।

শনিবার (৫ আগস্ট) শ্রাবণ সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) রিসার্চ বিল্ডিং মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মিলনায়তনের বাইরে শ্রাবণের ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। ভেতরে শ্রাবণের আমন্ত্রণে সংস্থার শিল্পীদের একক পরিবেশনার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন পর্যায়ের গান গেয়ে মুগ্ধতা ছড়ান আমন্ত্রিত শিল্পীরাও।

স্মৃতি কনা পাল গাইলেন ‘আমি কী বলে করিব নিবেদন’, অভিজিৎ দের কণ্ঠে শোনা গেলো ‘আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে’, সুমনা দাস ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে’, জান্নাতুন নাইম পিংকী ‘ওই আসন তলে’, পূরবী রায় শোনালেন ‘শ্যামল ছায়া নাইবা গেলে’, সুষ্মিতা দাস ‘কার মিলন চাও বিরহী’, শিল্পী সাহার কণ্ঠে শোনা গেলো ‘রাত্রি এসে যেথায় মেশে’, জয়শ্রী রায় ‘আজি প্রণমি তোমারে’, গায়ত্রী আচার্য শোনান, ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী, লিটন চন্দ্র বৈদ্য গাইলেন, ‘তোমার অসীমে প্রাণ মন’, সুচিত্রা চক্রবর্তী ‘আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে’, মৃদুল চক্রবর্তী, ‘আমার যে দিন ভেসে গেছে’, সর্বাণী চক্রবর্তী গাইলেন ‘যখন এসেছিলে অন্ধকারে’, হুমায়রা মোর্শেদ ‘হূদয়ের এ কূল ও কূল’, অলি রায় ভৌমিক শোনালেন ‘আমি তখন ছিলেম মগন’, ফারজানা ইয়াসমিন লুনা গেয়ে শোনান ‘চরণধ্বনি শুনি তব নাথ’, মনীষা কুণ্ডু গাইলেন ‘শ্রাবণের ধারার মত পড়ুক ঝরে’ সাজিদা সোনিয়া খান ইতি শোনালেন ‘আকাশে দুই হাতে প্রেম বিলায়’, সাবরিনা রহমান শোনান ‘তোমার কথা হেথা’, শেখর কুমার কর্মকার গাইলেন ‘আজি তোমায় আবার চাই শুনাবারে’, রমা বাড়ৈ ‘আমার যা আছে আমি সকল’, কাকলি গোস্বামী শোনালেন, ‘ওগো শোন কে বাজায়, তনুশ্রী দীপকের কণ্ঠে শোনা গেলো ‘সন্ধ্যা হলো গো’। রবীন্দ্র রচনাবলী থেকে পাঠ ও আবৃত্তি করেন মজুমদার বিপ্লব। সহযোগিতায় ছিলেন রাবিতা সাবাহ, সীমা সরকার, অনিকেত আচার্য, কনক খান, ছন্দা সহ আরও অনেকে।

শুরুতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পীযূষ বড়ুয়া বলেন, রবীন্দ্রনাথের গান আবহমান কালের বাঙালি সংস্কৃতির মূল ধারাকে বিকশিত ও সমৃদ্ধ করেছে। রবীন্দ্রসংগীত হয়ে উঠেছে আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি বিকাশের অবলম্বন। তার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে চর্চার মাধ্যমেই আমরা অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়তে পারবো।