×

সাহিত্য

‘মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৫৬ পিএম

‘মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো’

শান্তিনিকেতনে বসে ১৯১৪ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখেন ‘মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো’। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ইন্দিরা দেবীর স্মরলিপিতে সাহানা রাগে ও ঝাঁপতালে রচিত পূজা পর্যায়ের এই গানকে প্রতিপাদ্য করে শুরু হলো দুই দিনের ‘রবীন্দ্র স্মরণানুষ্ঠান’। ৮২তম রবীন্দ্র প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থা।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) বৃষ্টিভেজা রাবিন্দ্রিক সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) রিসার্চ বিল্ডিং মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জাতীয় সংগীত ও আগুনের পরশমণি সম্মেলক গানের মধ্য দিয়ে মুখর করে তোলা অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার সহ সভাপতি কাজল মুখার্জী। এরপর সংস্থার সভাপতি তপন মাহমুদ অস্ট্রেলিয়া থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, প্রতি বছর কবিগুরুকে তারই রচিত গান ও কথামালা দিয়ে স্মরণ করা হয়। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। রবীন্দ্রনাথেরই রচিত বর্ষা বিষয়ক গানের পাশাপাশি প্রেম, পূজা ও প্রকৃতি পর্যায়ে গান ও কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই স্মরণানুষ্ঠান।

এরপর রবীন্দ্রনাথের গানে গানে মুগ্ধতা ছড়ান ২৩ শিল্পী। খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম গেয়ে শোনান ‘আজি শরত তপনে’, তানজিনা তমা গাইলেন ‘মরণ রে তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান’, আজিজুর রহমান তুহিনের কণ্ঠে শোনা গেলো ‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু’। রাকিবা খান লুবা গাইলেন ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’, সুস্মিতা মণ্ডল ‘এই করেছ ভালো নিঠুর হে’, শিমু দে গাইলেন, ‘আমার প্রাণের পরে চলে গেলো’, প্রজ্ঞা লাবনী ‘মধ্যদিনের বিজন বাতায়নে’, সুমাইয়া ফারাহ খান ‘দীর্ঘ জীবনের পথ’, আক্তারুজ্জামান সবুজ গাইলেন ‘সুরের গুরু দাও গো’, নাসরিন আক্তারের কণ্ঠে শোনা গেলো ‘আজ কিছুতে যায় না মনের ভার’, বীণা দত্ত গাইলেন ‘আমার হিয়ার মাঝে’, নকুল চন্দ্র দাস ‘দাঁড়াও আমার আঁখির আগে’, বর্ষা রাহা গাইলেন ‘বিশ্বসাথে যোগে’, পরেশ চন্দ্র ভৌমিক ‘আমি শ্রাবণ আকাশে’, পারভীন আক্তার ‘ডাকব না ডাকব না অমন করে’, সাজ্জাদ হোসেন ‘কেন চোখের জলে’, আবদুর রশীদের কণ্ঠে শোনা গেলো ‘মরণের মুখে রেখে’, সঞ্জীব সূত্রধর গাইলেন ‘পেয়েছি ছুটি, বিদায় দেহো ভাই’, মাহযাবীন শাওলী গাইলেন ‘তুমি কি কেবলই ছবি’, দীপা চৌধুরী ‘যদি তোমার দেখা না পাই প্রভু’, ড. মাশফিদা আক্তার ‘ওই মালতী লতা দোলে’ এবং বিলু সিদ্দিকী গাইলেন ‘না চাহিলে যারে পাওয়া যায়’।

আজিজুর রহমান তুহিনের পরিকল্পনায় রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুভাবনা নিয়ে গীতি আলেখ্য ‘তবুও অনন্ত জাগে’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের সমাপনী সন্ধ্যার ইতি টানা হয়।

আগামীকাল শনিবার সমাপনী সন্ধ্যায় গাইবেন-স্মৃতি কনা পাল, অভিজিৎ দে, সুমনা দাস, জান্নাতুন নাইম পিংকী, পূরবী রায়, সুষ্মিতা দাস, শিল্পী সাহা, জয়শ্রী রায়, গায়ত্রী আচার্য, লিটন চন্দ্র বৈদ্য, সুচিত্রা চক্রবর্তী, মৃদুল চক্রবর্তী, সর্বাণী চক্রবর্তী, হুমায়রা মোর্শেদ, অলি রায় ভৌমিক, ফারজানা ইয়াসমিন লুনা, উত্তম সাহা, মনীষা কুন্ডু, সাজিদা সোনিয়া খান ইতি. সাবরিনা রহমান, শেখর কুমার কর্মকার, রমা বাড়ৈ, কাকলি গোস্বামী, তনুশ্রী দীপক। থাকবে মজুমদার বিপ্লবের একক আবৃত্তি পরিবেশনা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App