×

সাহিত্য

জামদানি উৎসবে ভাওয়াইয়া সুরের মূর্ছনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ১০:৩৪ পিএম

জামদানি উৎসবে ভাওয়াইয়া সুরের মূর্ছনা

ছবি: ভোরের কাগজ

শিল্পকলার চিত্রশালা গ্যালারির ভেতরে জামদানির নান্দনিক সাজ আর লবিতে স্থাপিত উন্মুক্ত মঞ্চে ভাওয়াইয়ার মাটির সুরের মূর্ছনা। অনন্য ভালো লাগার এক সন্ধ্যা। বর্ষা ঋতুর ভরা যৌবনে প্রকৃতিতে বৃষ্টির দেখা না গেলেও শিল্পকলা একাডেমিকে সুরের বৃষ্টিতে ভেজালেন ভাওয়াইয়া কিংবদন্তি শিল্পী মোস্তাফিজুর রহমানের দুই উত্তরসুরি দুই সহোদরা মন ও সাহস মোস্তাফিজ। উত্তর বঙ্গের গ্রামীন জনপদের শেকড়ের সুরে সুরপিয়াসিদের বিমোহিত করলেন গানের এই দুই পাখি। আর দর্শক শ্রোতারাও সুরের মোহে আবিষ্ট হয়ে পিন পতন নীরবতায় উপভোগ করলেন আবহমান বাংলার শেকড়ের সুরের ভাওয়াইয়া গান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৭ নং গ্যালারির লবিতে এমন চিত্রকল্পই ছিলো পিকেএসএফের সহযোগিতায় সেবা নারী শিশু সংগঠন আয়োজিত ১১ দিনের জামদানি প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক আয়োজনে।

আসরের শুরুতেই চিরচেনা সুরের ‘ও কি গাড়িয়াল ভাই’ পরিবেশন করেন শিল্পী মন মোস্তাফিজ। এই গানের বর্ণনায় গ্রামীণ জনপদের গাড়িয়ালের প্রতি তার প্রেমিকার আবেদন তুলে ধরেন। এরপর সাহস মোস্তাফিজ গেয়ে শোনান ‘ও কি বন্ধু কাজল ভোমরা’,। এরপর দ্বৈতকণ্ঠে দুই ভাই বোন পরিবেশন করেন ‘যে জন প্রেমের ভাব জানে না’। পরের পরিবেশনায় মন মোস্তাফিজ গেয়ে শোনান ‘ফুল তোলা শাড়ি’। সবশেষে ‘প্রেম জানে না রসিক কালাচান’ গানটির ডুয়েট পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় জামদানি উৎসবের দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক আয়োজন।

এর আগে জামদানি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ।

পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, আমাদের গর্ব করার মত দেশীয় ঐতিহ্য জামদানি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত। এই শিল্পকে রক্ষার পাশাপাশি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জীবন মানের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।

পিকেএসএফের সাসটেইনেবল প্রজেক্টের আওতায় ২৯ জুলাই শেষ হবে ১১ দিনের এই জামদানি উৎসব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App