×

সাহিত্য

‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৩, ০৯:২৮ পিএম

‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ’

ছবি: ভোরের কাগজ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞানমনস্ক ও একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মেথডিক্যাল মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে তিনি স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনের সময় বিভিন্ন আইন ও অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিলেন।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি আয়োজিত ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাবনা: জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধু বক্তৃতামালার ২২তম পর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ। সঞ্চালনা করেন ইনস্টিটিউটের রিসার্চ ফেলো তৌহিদুল হাসান নিটোল।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল।

মাকসুদ কামাল বলেন, একজন মানুষ যখন বিজ্ঞানমনস্ক ও মেথডিক্যাল হয়, শেষ পর্যন্ত সে তার লক্ষ্যে উপনীত হতে সক্ষম হয়। জাতির পিতা ছিলেন তেমন একজন মানুষ। যার কারণে বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, রাজনীতির মধ্যেও একটা মেথড আছে। রাজনীতও একটা বিজ্ঞান। এই বিজ্ঞানের মধ্যে বঙ্গবন্ধু দেখেছেন একটি দেশ যদি স্বাধীন করতে হয়, সেখানে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা না হয়ে, একজন গণতন্ত্রকামী মানুষ হয়ে সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করতে নিতে হলে কী কাজগুলো করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞানমনস্ক ছিলেন বিধায় দেশ যখন স্বাধীন হলো, তখন তিনি অনেকগুলো কাজ করেছেন। ১৩১টা অ্যাক্ট করেছেন। এর মধ্যে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান বহির্ভূত অনেক কিছু করেছেন।

তিনি বলেন, অনেক নেতা ছিলেন। কিন্তু একটা দেশ উপহার দিতে পারেননি। একটি দেশ যদি উপহার দিতে হয়, তাকে মেথডিক্যাল হতে হয়। তার চিন্তা-চেতনার মধ্যে এমন কিছু বিষয় থাকতে হয়, যার উপর মানুষ বিশ্বাস স্থাপন করে।

১৯৭০ সালে যে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, সে সময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, শিক্ষাখাতে বাজেট হবে জিডিপির ৪-৬ শতাংশ। দেশ স্বাধীন করার পরে বঙ্গবন্ধু যে প্রথম বাজেট দিয়েছেন, সেটা ছিল মোট বাজেটের ২৫ শতাংশ। এরপর কোনো সরকার এই পরিমাণ অর্থ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করেননি। এখান থেকেই সহজে অনুমেয়, বঙ্গবন্ধু একজন মেথডিক্যাল মানুষ ছিলেন।

তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ যুগে আমাদের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। শ্রমনির্ভর আমাদের যে অর্থনীতি, তাতে প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে তার বিকল্প উপায় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। এই প্রাযুক্তিক বিশ্বব্যবস্থায় টিকে থাকতে হলে, মধ্যম থেকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেধা ও জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি কাঙ্খিত হয়ে উঠেছে।

বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে দেশ লক্ষ্যচ্যুত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সঠিক পথে ফিরেছি। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভাবনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাবনা আমাদের পথ দেখাবে।

বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র বিনির্মাণ ও এর উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিজ্ঞান ভাবনা ও দর্শনের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে মূল প্রাবন্ধিক লাফিফা জামাল বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জ্ঞানভিত্তিক উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার বিভিন্ন সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App