×

সাহিত্য

ডিজিটাল আইনে আটকদের মুক্তির দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৩, ০৯:৪৫ পিএম

ডিজিটাল আইনে আটকদের মুক্তির দাবি

ছবি: ভোরের কাগজ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাসহ নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ও আটক সবাইকে ঈদের আগেই মুক্তি দেয়া এবং এই আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে ‘প্রতিবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ’-এর ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে যোগ দেয় গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতিসহ সমমনা অন্যান্য সংগঠনগুলো। সমাজ চিন্তা ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কামাল হোসেন বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমাম, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি দীপক শীল, প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি জাকির হোসেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব মো. আখতারুজ্জামান। সমাবেশটির সঞ্চালনা করেন উদীচীর গেন্ডারিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক ওমকার নাথ ঝলক।

প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংবিধানের মৌলিক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে দেশের জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা তথা বাক স্বাধীনতাকে খর্ব করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যম, শিক্ষক, ছাত্র, শিল্পীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে হয়রানি ও বিরোধী মত দমনের অন্যতম হাতিয়ার বানানো হয়েছে এই আইনকে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে এ ধরনের বিবর্তনমূলক আইন কখনোই বলবৎ থাকতে পারেনা। অগণতান্ত্রিক বিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে সরকার একের পর এক সংবাদকর্মী ও সমাজের নানা স্তরের মুক্তচিন্তার মানুষকে গ্রেপ্তার ভয়-ভীতি দেখানোর মাধ্যমে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ এবং জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করে চলেছে। ধর্মীয় অনুভূতির দোহাই দিয়ে কথায় কথায় মুক্তচিন্তার মানুষকে গ্রেপ্তার হয়রানীর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। এসব অগণতান্ত্রিক আইন কানুন এবং দমন পীড়ন স্বাধীনতার ঘোষণা তথা সাম্য সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানবিক মর্যাদার পরিপন্থি তাই অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব নিবর্তনমূলক আইন বাতিল করার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সোচ্চার হওয়ার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

বক্তারা আরো বলেন, সরকার অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতের নাম করে শ্রমিকদের ধর্মঘট করার গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছে। এর ফলে শুধু শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার ক্ষুন্ন হবে তাই নয়, তাদের অধিকার আদায়ের পক্ষে কেউ গান গাইলে বা নাটক করলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে দেশে লুটপাট ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে এ সকল অপতৎপরতা চালানো সরকার বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ না করে মানুষের বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এ ছাড়া বাহাদুরশাঞ পার্কসহ ঐতিহাসিক স্থাপনা, পার্ক, উন্মুক্ত স্থান, যথাযথ সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের দাবিও জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

প্রতিবাদী সংস্কৃতিক সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিবু রঞ্জন দে, রঘু অভিজিৎ রায়, তৈমুর খান অপু, নিখিল দাস, রুবেল শিকদার, আব্দুল আলিম, উত্তম কুমার, জাহিদ হোসেন খান। সমাবেশে প্রতিবাদী গান ও কবিতা পরিবেশন করেন মফিজুর রহমান লালটু, মাসুক শাহী, নুজহাত মনীষা, চম্পা মারাক, প্রফুল্ল দাস, সুস্মিতা কীর্তনীয়া প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App