×

সাহিত্য

নাচ-গান-আবৃত্তিতে চট্টগ্রামে খেলাঘরের বর্ষাবরণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩, ০১:২৮ এএম

নাচ-গান-আবৃত্তিতে চট্টগ্রামে খেলাঘরের বর্ষাবরণ
নাচ-গান-আবৃত্তিতে চট্টগ্রামে খেলাঘরের বর্ষাবরণ
নাচ-গান-আবৃত্তিতে চট্টগ্রামে খেলাঘরের বর্ষাবরণ

নাচ-গান-আবৃত্তি ও কথামালা পরিবেশনার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে বর্ষাকে বরণ করে নিয়েছে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’। আষাড়ের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে ‘বর্ষা বরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর। শিশু-কিশোরদের নাচ-গান-আবৃত্তি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উৎসব মুখর হয়ে ওঠে আয়োজনটি। বর্ষা যেমন গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহ দূর করে প্রকৃতিকে করে তোলে স্নিগ্ধ-শীতল, তেমনি ‘বর্ষাবরণ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের মন থেকে সংকীর্ণতা দূর করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ- এমনটাই আশা করেন আয়োজকরা।

অনুষ্ঠানে বর্ষা বন্দনা করে আলোচনা করেন কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার। খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি নাট্যজন মুনির হেলালের সভাপতিত্বে কথামালায় অংশ নেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী রথীন সেন, মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি দেবাশীষ রায়, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ বসু। খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যাপক রোজী সেন’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মহানগর কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পার্থ প্রতীম নাহা। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন শুচিস্মিতা চৌধুরী, তৃষা দাশ। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন তরুণ চক্রবর্তী।

কবি ওমর কায়সার বলেন, ঋতু বৈচিত্র্যের দেশ এই বাংলাদেশ। কিন্তু পৃথিবী ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে। সবুজের সমারোহ দিনে দিনে কমছে। বর্ষা আমাদের প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। বর্ষাকালেই নতুন নতুন চারা গাছ হয়। বর্ষার বৃষ্টির পানি বড় গাছ হয়ে ওঠে আর গাছ আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। আমাদের পৃথিবী যাতে মরুভূমি হয়ে না যায়, এই বর্ষা যাতে নিয়মিত আসে সেজন্য শিশু-কিশোদেরই এগিয়ে আসতে হবে। সবুজকে ভালোবাসতে হবে। বেশি করে চারা গাছ লাগাতে হবে। পাহাড় ধ্বংস করবো না। প্রকৃতিকে ভালোবাসবো।

অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, বর্ষা মানব মনের আবেগকে নাড়া দেয়। বর্ষার রিমঝিম ছন্দ তালে মনের মধ্যে ভাবের সঞ্চার হয়, মনের অজান্তে গীত হয় কবিতা বা গানের চরণ। বর্ষা প্রকৃতির মর্মরসের চিত্রও কবিরা এঁকেছেন তার কবিতা ও গানে। তাই বর্ষাকেই স্মরণ করে আয়োজন হয় বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠানের। গ্রীষ্মের তাপদাহে সবাই চায় একটু শীতল পরশ। তাই এভাবেই বর্ষার জলে সিক্ত হওয়ার কামনায় নাচে গানে আয়োজন করা হয় বর্ষামঙ্গলের। জীবন ও পরিবেশের সঙ্গে মিলিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, অতুল প্রসাদ লিখেছেন ঋতু বৈচিত্র্যের গান। কিন্তু তার মধ্যে বর্ষার গানই বেশি। বর্ষার স্নিগ্ধ প্রকৃতির মাঝের মানুষও ফিরে পাবে নতুন জীবনিশক্তি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App