×

লাইফ স্টাইল

কাঠফাটা গরম থেকে বাঁচার ১০ উপায়

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২১ পিএম

কাঠফাটা গরম থেকে বাঁচার ১০ উপায়

ছবি: সংগৃহীত

গরমে ঝলসে যাচ্ছে সারাদেশ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের পাঁচ জেলা- পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলায় এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এসব অঞ্চলের মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।

এদিকে চলতি বছর গ্রীষ্মের প্রথম দিকে থেকেই তীব্র গরম ও দাবদাহ তাণ্ডব চালাচ্ছে দেশজুড়ে। ইতোমধ্যে রাজধানীসহ সারা দেশেই পারদ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রার টানা রেকর্ড গড়েছে।

ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দেশের কোথাও কোথাও হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে।

এমন যখন অবস্থা তখন তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই খোঁজেন নানা টোটকা । গরম থেকে রক্ষা পেতে বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যা মেনে চললে এর থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

চলুন জেনে আসি গরম থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

১। গরম থেকে বাঁচার প্রথম ও প্রধান উপায় সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রোদের প্রখরতা থাকে বেশি। এ সময় ঘরেই থাকা ভালো।

২। জুতা-স্যান্ডেল নির্বাচনেও চোখ খোলা রাখা জরুরি। পায়ে বাতাস চলাচল করতে খোলামেলা জুতা পরা উচিত। কাপড় বা সিনথেটিক বাদ দিয়ে চামড়ার জুতা হলে ভালো।

৩। ক্যাপ ব্যবহারে শুধু মুখমণ্ডল সূর্যের আলো থেকে রক্ষা পায়। শরীরের সিংহভাগ বাঁচাতে চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি ব্যবহার করুন। যারা কৃষিকাজ করেন তারা ‘মাথাল’ ব্যবহার করতে পারেন।

৪। শরীর গরম সহ্য করতে পারলে মুখ-হাত ঢেকে রাখুন। পানি খান প্রচুর। ফলের জুস খাওয়াও শরীরের জন্য ভালো। গরমে ঘাম হয়ে শরীর থেকে প্রচুর পরিষ্কার পানি বের হয়ে যায়। এ সময় ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স তৈরি হয়। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পানি বা জুস পানের চেয়ে ভালো সমাধান নেই।


৫. স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।

৬. মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফল ও সবজী খান।

৭. প্রস্রাবের রঙ খেয়াল করুন। প্রস্রাবের গাঢ় রঙ পানি স্বল্পতার লক্ষণ।

৮. সব সময় ছাতা বা টুপি সাথে রাখুন

৯. ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

১০. চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়

হিটস্ট্রোক কী

ঢাকার আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালের চিকিৎসক ড. আলিয়া নাহীদ জানান, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ

১. শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া

২. গরমে অচেতন হয়ে যাওয়

৩. মাথা ঘোরা

৪. তীব্র মাথা ব্যথা

৫. ঘাম কমে যাওয়া

৬. ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া

৭. শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা

৮. বমি হওয়া

৯. হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া

১০. শ্বাস কষ্ট

১১. মানসিক বিভ্রম

১২. খিঁচুনি

হিটস্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা

কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করতে হবে তা হলো:

১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।

২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।

৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App