পিসিওএস আছে? সন্তানধারণের আগে যা করতে হবে
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
অনিয়মিত ঋতুস্রাব, বাড়তি ওজন, মুখে লোমের আধিক্য—পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (পিসিওএস) আছে এমন মহিলাদের কাছে এই উপসর্গগুলি ভীষণ চেনা। এই অসুখে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। এমনকি, ডিম্বস্ফোটনের ক্ষেত্রেও এই অসুখের প্রভাব পড়ে। ক্রমেই বন্ধ্যাত্ব ডেকে আনতে পারে এই সমস্যা। এই অসুখকে নিয়ন্ত্রণে রাখার একমাত্র উপায় সুস্থ ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা। পিসিওএস-এ আক্রান্ত মহিলারা সন্তান ধারনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য যা করতে হবে-
১. ওষুধ খেতে হবে: এই ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বেশ কিছু ওষুধ খেতে হতে পারে। এই ওষুধগুলি ডিম্বস্ফোটনকে নিয়মিত করবে। ডিম্বস্ফোটনের সমস্যা থেকেই যেহেতু বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা তৈরি হয়, তাই সময় অপচয় না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেয়াই ভাল।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে: পিসিওএস থাকলে অনেকের ওজন বেড়ে যায়। ওজন বেশি হলে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। অতিরিক্ত বিএমআই থাকলে গর্ভধারণের আগেই তা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কারণ, না হলে প্রিএক্লাম্পসিয়ার মতো জটিল সমস্যা, রক্তজমাট বাঁধা, গর্ভপাত ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুন: ভিটামিন ডি কমে গেলে বাড়ে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি
৩. মানসিক চাপ কমাতে হবে: গর্ভাধারণের আগে কোনো অবস্থাতেই মানসিক চাপ নেবেন না। এই সময় মন ভাল রাখতে গান শুনুন, হালকা ব্যায়াম বা যোগাভ্যাস করুন। বাড়িতে পোষ্য থাকলে তার সঙ্গে খেলতেও পারেন। এগুলি মনকে চাপমুক্ত রাখে ও সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়ায়।
৪. ডায়েট নিয়ে সচেতন হতে হবে: পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে নিয়ম মেনে ডায়েট করা খুব জরুরি। খাদ্যতালিকা থেকে ‘জাঙ্ক ফুড’ একেবারে বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত ফাইবারযুক্ত, জিঙ্ক ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খান। রোজ পাতে রাখুন পাঁউরুটি, ব্রাউন রাইস, নানা রকম বীজ, দুগ্ধজাত খাবার। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমান। আর প্রচুর পরিমাণে শাক-সব্জি ও ফল খান।
৫. ধূমপান ও মদ্যপান নিয়ে সতর্ক হোন: অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান ও ধূমপান শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। এই সমস্যা পিসিওস আক্রান্তদের জন্য মোটেও ভাল নয়। তাই সন্তান ধারণের আগে এই দুই অভ্যাস ছেড়ে দেওয়াই ভাল।