ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হবে
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০১:২১ পিএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হলে শেখ হাসিনাসহ যাদের নামে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হবে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা মতিউর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ পর্যন্ত শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমাবার (১৯ আগস্ট) মিরপুরে শিক্ষার্থী আলভীকে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনকেও আসামি করা হয়েছে।
ধানমন্ডির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা কার্যালয়ে আলভীর পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন এ অভিযোগ দায়ের করেন।
আরো পড়ুন : আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলে রিটের শুনানির তারিখ নির্ধারণ
আসামিরা হলেন, ১. শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ; ২. রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সভাপতি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ও কেন্দ্রীয় নেতা ১৪ দলীয় মহাজোট; ৩. হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সভাপতি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও কেন্দ্রীয় নেতা ১৪ দলীয় মহাজোট; ৪. আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাবেক মন্ত্রী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (জেপি) ও কেন্দ্রীয় নেতা ১৪ দলীয় মহাজোট; ৫. ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ; ৬. আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ৭. আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ৮. সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা; ৯. মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ১০. জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক মন্ত্রী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; ১১. জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ১২. মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; ১৩. কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রণালয়; ১৪. সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন; ১৫. চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ; ১৬. মো. হারুন অর রশিদ সাবেক মহাপরিচালক, র্যাব; ১৭. হাবিবুর রহমান, সাবেক কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ; ১৮. হারুন অর রশীদ, সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ; ১৯. বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক যুগ্ম কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ; ২০. মুন্সী সাব্বির, সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মিরপুর মডেল থানা; ২১. মাইনুল ইসলাম নিখিল, সভাপতি, বাংলাদেশ যুবলীগ; ২২. বজলুর রহমান, সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর; ২৩. এস এম মান্নান কচি, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর; ২৪. আতিকুর রহমান, মেয়র, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, উত্তর; ২৫. মো. হানিফ, সভাপতি, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগ; ২৬. ইসমাইল মোল্লা, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা; ২৭. বাপ্পি, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা। ২৮. সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহ এবং ২৯. অজ্ঞাত নামা অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এর নেতাকর্মী এবং পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্য সহ আনুমানিক ৫০০ জন।