×

আন্তর্জাতিক

ভারতে দেড় হাজার বছরের পুরোনো বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্রের সন্ধান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৩০ এএম

ভারতে দেড় হাজার বছরের পুরোনো বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্রের সন্ধান

মোগলমারী থেকে পাওয়া সীলমোহর

অনেক আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের মোগলমারিতে বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্রের সন্ধান মিলেছিলো। এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক রজত সান্যালের গবেষণার পথ ধরে জানা গেছে, ওই স্থানে একটি নয় দুটি বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র ছিলো। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

অধ্যাপক রজত সান্যাল জানিয়েছেন নতুন যে শিলালিপি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি পরীক্ষা করে দুটি শিক্ষাকেন্দ্রের খোঁজ মিলেছে। একটি যজ্ঞপিণ্ডিক এবং আরেকটি মুগলায়িক। এর আগে মনে করা হতো ওই স্থানে শ্রীবন্দকমহাবিহার নামে একটিই মহাবিহার ছিলো।

রজত জানান, যজ্ঞপিণ্ডিক মহাবিহারের তুলনায় মুগলায়িক ছোট। তাই একে বিহারিকা হিসেবে বলা যায়। পশ্চিমবঙ্গে মহাবিহার ও বিহার এর আগে পাওয়া গেলেও বিহারিকার এই প্রথম সন্ধান পাওয়া গেল।

যে প্রত্নখণ্ডগুলো থেকে এই দুই মহাবিহার ও বিহারিকার সন্ধান মিলেছে. সেগুলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরাতত্ত্ব ও সংগ্রহালয়ের তৎকালীন উপ-অধীক্ষক অমল রায়ের নের্তৃত্বে আবিষ্কার হয়। এগুলোর অক্ষর পঞ্চম শতকের পূর্ব ভারতীয় ব্রাহ্মী লিপি ও সপ্তম শতকের পূর্ণতাপ্রাপ্ত সিদ্ধমাতৃকা লিপির মধ্যবর্তী সময়ের।

ষষ্ঠ শতকেই পাশাপাশি এই দুই মহাবিহার ও ‍বিহারিকায় একই সঙ্গে পাঠদান করা হতো বলে অনুমান করছেন গবেষকরা। হিউয়েন সাং প্রাচীন তাম্রলিপ্ত বন্দরের কাছে অবস্থিত কিছু বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্রের কথা বলেছিলেন। এর মধ্যে তিনি কোনো একটির নাম আলাদা করে বলেননি। যজ্ঞপিণ্ডিক ও মুগলায়িক সেই কেন্দ্রগুলোর অন্যতম বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আগের খনন থেকে জানা গেছে, ছাত্র-শিক্ষক ছাড়া এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে বণিক ও শিল্পী সম্প্রদায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলেন, যজ্ঞপিণ্ডিক নাম থেকে অনুমান করা যায়, এই শিক্ষাকেন্দ্রে মহাযান বৌদ্ধ মতাবলম্বীদের প্রাধান্য ছিলো। সেখানে পাঠদান ছাড়াও বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হতো। সেই আচার-অনুষ্ঠানে শিক্ষাকেন্দ্রের আবাসিক ছাত্র ছাড়াও বাইরের মানুষেরাও উপস্থিত থাকতেন। এই কারণেই মহাবিহারটি ষষ্ঠ শতকে বিশেষ মর্যাদা পেত। অন্যদিকে মুগলায়িক বিহারিকার সঙ্গে মোগলমারি নামের মিল আছে। সে অনুযায়ী মোগলমারী নামের উৎপত্তি কোথা থেকে সেটি নিয়ে গবেষণা হওয়া জরুরি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App