জার্মানিতে মেরকেলের উত্তরসূরী নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৩৫ এএম
ছবি : সংগৃহীত
জার্মানিতে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের পরে কে ক্ষমতাসীন হবে- এসপিডি প্রার্থী ওলাফ শালৎজ, এফডিপির ক্রিস্টিয়ান লিন্ডিনা, না কি ইউনিয়ন প্রার্থী আরমিন লাশেট। নিজেদের অবস্থান এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি জানানোর জন্য বৃহস্পতিবার একটি টেলিভিশন আলোচনায় অংশ নেন ৩ জন চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী। এর আগে তারা এসব বিষয়ে খোলাখুলি কিছু বলেননি। তাই ওই আলোচনা জার্মানির নির্বাচনী রাজনীতির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবারের ওই টেলিভিশন আলোচনায় উপস্থিত শীর্ষ ৩ নেতা নিজেদের অবস্থানের পার্থক্য জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন। ভোটারদের আকর্ষণের জন্য নানাবিধ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রশ্ন হলো, জার্মানির জনগণ অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের উত্তরসূরী হিসেবে কাকে বেছে নেবেন?
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্দিষ্ট জোট গড়লে তার পরিণাম কী হবে, সে বিষয়েও সতর্ক করে দিলেন। এই প্রথম কোনো বিতর্কে পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয় যথেষ্ট গুরুত্ব পেল। এমনকী ইউরোপীয় ইউনিয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত দেশ জার্মানির ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়েও শীর্ষ নেতারা নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে রবিবারের নির্বাচনের ফলাফল এবং তারপরের সম্ভাব্য জোট সরকার গড়ার উদ্যোগ নিয়ে জার্মানির মানুষের মধ্যে জল্পনা-কল্পনা বাড়ছে। এসপিডি প্রার্থী ওলাফ শলৎজ ও ইউনিয়ন শিবিরের প্রার্থী আরমিন লাশেটের হাতে সংসদের আসন সংখ্যার মধ্যে ফারাক যদি সত্যি খুব কম হয়, সে ক্ষেত্রে দুই পক্ষই সমান্তরালভাবে সরকার গড়ার লক্ষ্যে বাকিদের সঙ্গে আলোচনা চালাতে পারে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। ১৯৭৬ সালে এমন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় শক্তিশালী শিবির হিসেবে এসপিডি দলের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছিল। জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস সত্য প্রমাণিত হলে দুইয়ের বদলে তিনটি দলের জোট অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে। ১৯৪৯ সালে ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্র গঠনের পর তিন বছর এমন সরকার ক্ষমতায় ছিল। তারপর থেকে কখনো এমন তিন দলের সরকার গঠনের প্রয়োজন হয়নি।
উদারপন্থী এফডিপি দলের নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার বৃহস্পতিবার আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী দুই প্রধান শিবিরই এবার ভোটারদের ৭০ শতাংশের কম সমর্থন পাচ্ছে। এমন দুর্বল অবস্থানে থেকে তাদের পক্ষে সরকার গড়ার উদ্যোগ নিতে হবে। উল্লেখ্য, সর্বশেষ এক সমীক্ষা অনুযায়ী এসপিডি দল ২৫ ও ইউনিয়ন শিবির ২৩ শতাংশ সমর্থন পাচ্ছে। ফলে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বিদায়ের পর কে জার্মানির হাল ধরবেন, নির্বাচনের দুই-তিন দিন আগেও তা স্পষ্ট নয়।