ঢাকায় আসছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ এএম
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফরে আসছেন। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তিনি এই সফরে আসছেন। ডোনাল্ড লু একটি উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ঢাকায় আসছেন। প্রতিনিধি দলে আরো যুক্ত রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দফতরের আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর লিন্ডসে ফোর্ড।
মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড লু সর্বশেষ গত মে মাসে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। তবে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এটি হবে তার তথা যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রতিনিধি দলের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে প্রতিনিধি দলটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করবে। তবে, মধ্যরাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো নিশ্চিত হয়নি।
সফরে অর্থনৈতিক ও আর্থিক সহায়তা বিষয়ে আলোচনা প্রধান অগ্রাধিকার পাবে বলে জানা গেছে। এছাড়া, সার্বিক সম্পর্ক উন্নয়নের উপায় নিয়েও আলোচনা হবে। প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে শ্রমমানের উন্নয়নের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে, কারণ শ্রম মান উন্নয়নকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সহায়তা এবং বিনিয়োগ প্রদানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের পররাষ্ট্র নীতির মূল ফোকাস বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের চর্চা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন। বাংলাদেশের ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের পর গণতন্ত্র, সুশাসন এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রসহ মানবাধিকার সংবেদনশীল দেশগুলোকে উদ্বিগ্ন করেছে।
আরো পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে যা লিখেছে গার্ডিয়ান
সেগুনবাগিচার একজন কর্মকর্তার মতে, নতুন সরকারের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের আলোচনায় মানবাধিকার পরিস্থিতি, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়গুলো আসতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে গুমবিরোধী সনদে সই করেছে এবং গুমের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হতে পারে।