আরজি কর কাণ্ড
ঘটনার দিন ৪ বার হাসপাতালে ঢোকেন অভিযুক্ত
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ঘটনার আগে মোট ৪ বার হাসপাতাল চত্বরে ঢুকেছিলেন আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। অভিযোগ ওঠে, ঠাণ্ডা মাথায় ধর্ষণ-খুনের পরেও এক মহিলাকে ফোন করে তার সঙ্গে অসভ্য আচরণ করেন অভিযুক্ত। এবার এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে।
ঘটনার তদন্তকারী ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই সূত্রে মঙ্গলবার জানা গেছে, ঘটনার আগের দিন সকাল থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত মোট ৪ বার আরজি করে যান অভিযুক্ত। এর মধ্যে একবার গিয়েছিলেন তার এক ভলান্টিয়ার বন্ধুর সঙ্গে। সেই বন্ধুর পরিচিত কেউ আরজি করে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানা গেছে। তাকে দেখতে গিয়েই বন্ধুর সঙ্গে হাসপাতালে ঢোকেন অভিযুক্ত। এ ছাড়াও চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুন হওয়ার আগে আরো ২ বার নানা অজুহাতে আরজি কর চত্বরে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। খবর আনন্দবাজারের।
প্রতিবদেনটিতে সিবিআইয়ের বরাতে বলা হয়েছে, ঘটনার পরপরই তার এক বোনকে ফোন করেন অভিযুক্ত। দিদি বলে সম্বোধন করলেও তার সঙ্গেও নাকি ফোনে অসভ্যতা করেন অভিযুক্ত। ঘটনার আগের রাতের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে ৮ আগস্ট রাত ৮টা নাগাদ একবার হাসপাতাল থেকে বের হন অভিযুক্ত। এসময় তিনি চেতলার এক যৌনপল্লিতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে আরো একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেন অভিযুক্ত যুবক।
এর আগে ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ৪ তলায় সেমিনার হলে চিকিৎসকের রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালটির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সে দিন রাতেই সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে লালবাজারে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। আরজি কর-কাণ্ডে ধরা পড়া যুবক পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। এর আগেও মহিলাদের সঙ্গে অসভ্য আচরণের রেকর্ড রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জানা যায়, নিজের পাড়ায় মহিলাদের উত্ত্যক্ত করা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বেআইন কাজের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গত মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্ত ভার দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সে দিন রাতেই মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র হস্তান্তর করা হয়। বুধবার সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি বিশেষ দল। মামলার নথিপত্রের পাশাপাশি গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ারকেও হেফাজতে নেয় তারা।
আরো পড়ুন: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ
ইতোমধ্যেই দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে তাকে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। ইতোমধ্যে সোমবার অভিযুক্তের ‘লাই-ডিটেক্টর’ পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে সিবিআই।