সরকারি টাকা পেয়েই প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন ১১ গৃহবধূ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৬ এএম
ছবি : প্রতীকী
দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে নিজেদের স্থায়ী ঘর নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা দেয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই লাখ টাকা পর্যন্ত সহযোগিতার দেয়া হয়ে থাকে। এই ঋণে প্রতি বছর উপকৃত হচ্ছেন দেশের লাখ লাখ মানুষ। বেশ কয়েকটি পরিবারের হাতে এরইমধ্যে তুলে দেয়া হয়েছে বরাদ্দের প্রথম কিস্তি। এখানেই বিপত্তির শুরু। এ টাকা হাতে পেয়েই স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছেন অন্তত ১১ জন গৃহবধূ।
এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি ওই জেলায় অন্তত ১১ জন বিবাহিত নারী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে প্রেমিকদের সঙ্গে পালিয়েছেন। ঋণের প্রথম কিস্তিতে ৪০ হাজার রুপি করে পেয়েছিলেন তারা। এই অর্থ হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বামীর সংসার ছেড়ে পালিয়ে যান এসব নারী। পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয় নিখোঁজ মামলা।
মহারাজগঞ্জ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট অনুনয় ঝা জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর ১১ জন মহিলার বিরুদ্ধে তা অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা বাড়ি তৈরিতে এসব টাকা ব্যবহার করেননি। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এসব গৃহবধুর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের দেয়া কিস্তির টাকা পুনরুদ্ধারের আদেশও দেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন : ভারতে চিকিৎসা: বহু বাংলাদেশির কিডনি চুরি!
জানা যায়, সম্প্রতি মহারাজগঞ্জ জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কর্মসূচির অধীনে ঋণের টাকা পেয়েছেন প্রায় ৩ হাজার ৩৫০ জন সুবিধাভোগী। তারা থুঠিবাড়ি, শীতলাপুর, চাটিয়া, রামনগর, বকুল দিহা, খসরা, কিশুনপুর এবং মেধৌলি গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু ঋণের টাকা নিয়ে স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন, পুলিশের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।
ভারতের এ রাজ্যটিতে এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। গত বছর এমন একটি প্রকল্পের আওতায় কিস্তির টাকা পাওয়ার পর স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালান ৪ নারী। তারা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা হওয়ার পরই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন।
জানা যায়, অর্থছাড়ের বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য করে, কয়েকজন সুবিধাভোগীর বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়নি। এ নিয়ে কর্মকর্তারা একটি নোটিশ পাঠান এবং তাদের বাড়ির নির্মাণের কাজ অবিলম্বে শুরু করার নির্দেশ দেন। কিন্তু তাতেও কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এরপর, সুবিধাভোগীদের স্বামীরা জেলা নগর উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে একটি সতর্কবার্তা পান। তারপরেই জানা যায়, ঋণের টাকা নিয়ে স্ত্রীরা পালিয়ে যাওয়ার কারণেই তারা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে পারেননি।