ব্রিটেনের নির্বাচনে এবারও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৪ নারীর জয়!
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
৪ জুলাই অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির হয়ে আবারও এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ সিদ্দিক, রুপা হক, আফসানা বেগম এবং রুশনারা আলী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক টানা চতুর্থবারের মতো ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপি পদে নির্বাচিত হলেন। যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির পক্ষে হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন তিনি। বিবিসির নির্বাচনী তথ্য অনুযায়ী, টিউলিপ ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী ডন উইলিয়ামস ৮ হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ৭ জন।
এর আগে ২০১৫ সালে, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে প্রথমবারের মত এমপি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও একই আসন থেকে জয়লাভ করেন। ওই বছর ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের দ্য প্রোগ্রেস ১০০০ তালিকায় লন্ডনের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের মধ্যে স্থান অর্জন করেছিলেন টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক।
এদিকে, লেবার পার্টির প্রার্থী রূপা হকও ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসন থেকে ব্রিটিশ এমপি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২২ হাজার ৩৪০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী জেমস উইন্ডসর-ক্লাইভ পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৪৫ ভোট। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এমপি হন রূপা হক; এরপর থেকে এখন পর্যন্ত টানা চারবার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
এছাড়াও পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসে এমপি হয়েছেন লেবার পার্টির প্রার্থী আফসানা বেগম। তিনি পেয়েছেন ১৮,৫৩৫ ভোট— যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিন পার্টির নাথালি বিনফাইট পেয়েছেন মাত্র ৫,৯৮৫ ভোট। আফসানা ২০১৯ সালে প্রথম এমপি পদে নির্বাচিত হন।
২০১০ সালে ব্রিটেনের হাউস অফ কমন্সে নির্বাচিত প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলীও এবার ব্রিটিশ এমপি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। লেবার পার্টির হয়ে তিনি পেয়েছেন ১৫,৮৯৬ ভোট; অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী আজমল মাসরুর পেয়েছেন ১৪,২০৭ ভোট।
এবারের নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন, এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অন্তত ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের কেউ কেউ ভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, আবার কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।