রাফায় ইসরায়েলি হামলায় ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার সীমান্ত শহর রাফার কাছে ইসরায়েলের কেরেম শালম ক্রসিংয়ে হামাসের রকেট হামলায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সশস্ত্র শাখা এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এরপরই রবিবার (৫ মে) রাফায় ঢুকে ইসরায়েলি সেনারা বেপরোয়া গুলি ও বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ১৯ জন ফিলিস্তিনিতে হত্যা করেছে বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর: রয়টার্স ও আরব নিউজের।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, রাফা থেকে ওই ক্রসিং এলাকা লক্ষ্য করে ১০টি রকেট ছোড়া হয়, তারপর থেকে ওই ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ আছে। অন্য ক্রসিংগুলো খোলা আছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, ক্রসিংয়ের পাশে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে রকেট ছুড়েছে তারা। কিন্তু তারা কোথা থেকে রকেটগুলো ছুড়েছে তা নিশ্চিত করেনি।
হামাসের গণমাধ্যম ওই সশস্ত্র শাখার ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বাণিজ্যিক ক্রসিংটি রকেট হামলার লক্ষ্যস্থল ছিল না। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় অর্ধেক দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে আছে। শহরটি মিশরের সীমান্ত সংলগ্ন। ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন, হামাসের ওই হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাফার হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এই পাল্টা হামলা চালানোর কথা নিশ্চিত করে বলেছে, হামাসের রকেটগুলো যেখান থেকে ছোড়া হয়েছে সেখানে লঞ্চারে আঘাত হেনেছে তারা, পাশাপাশি নিকটবর্তী একটি সামরিক অবকাঠামোও লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, রাফা ক্রসিংয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে রকেটগুলো ছুড়েছে হামাস। গাজার বেসামরিক জনগণকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে চলছে হামাস।
তবে, বেসামরিকদের ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহারের ইসরায়েলি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। রবিবার রাফায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। ইসরায়েল রাফায় আক্রমণ চালিয়ে শহরটিতে লুকিয়ে থাকা হামাস বাহিনীকে নির্মূল করার প্রত্যয় জানিয়েছে। কিন্তু গাজার অর্ধেক বাসিন্দা আশ্রয় নিয়ে আছে যেখানে সেখানে বড় ধরনের সামরিক অভিযান মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা আন্তর্জাতিক মহলের।
রাফায় এ ধরনের কোনো অভিযান না চালাতে ইসরায়েলের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে তারা। গাজায় সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধে একটি বিরতি টানার জন্য কায়রোতে আলোচনা চলছিল, কিন্তু রবিবারের এসব হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় যুদ্ধবিরতির আশা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে।