মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি দিন দিন জটিল আকার ধারণ করায় আরো কঠোর হচ্ছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা। এ পরিস্থিতিতে তরুণ ও যুবকদের ওপর বাড়াচ্ছে চাপ। রুখে দিচ্ছে তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং তাদের বিদেশে কাজে যাওয়ার অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। 

নাগরিকদের জন্য সেনাপ্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে গত ফেব্রুয়ারিতে আইন জারির পর এবার ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের বিদেশে কাজে যাওয়ার অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। বৃহস্পতিবার (২ মে) জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, যাদের জন্য সেনাপ্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক তাদের বিদেশে কাজে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনপত্র গ্রহণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

আরো পড়ুন: বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর নির্মাণ করছে দুবাই

এশিয়ার অন্যান্য দেশে মিয়ানমারের অনেক নাগরিক শ্রমিক হিসাবে কাজ করছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধ বেধে যায়। সীমান্ত অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় সশস্ত্র বিদ্রোহী জোটের কাছে হেরে গিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। 

বিবিসি জানিয়েছে, সেনা প্রশিক্ষণ নিয়ে আইন জারির পর মিয়ানমারের প্রায় এক লাখ পুরুষ বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। 

জাপানের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া ৩২ বছর বয়সি এক ব্যক্তি জানান, সরকারের এ ঘোষণায় তিনি বিপর্যস্ত। তিনি আরো বলেছেন, ‘সবাই ভবিষ্যতের জন্য তাদের আশা হারিয়ে ফেলেছে। দেশে চাকরির সুযোগ নেই এবং এখন তারা আমাদের দেশ ছেড়ে যেতে নিষেধ করেছে। আমাদের কি কিছু করার অনুমতি নেই? 

অন্যদিকে রাজধানী নেপিদোর লুই শহরতলির ২৮ বছর বয়সি কো ফিও বলেন, ‘সামরিক পরিষদের নির্দেশে দেশের তরুণদের কোনো কাজের সম্ভাবনা নেই।’ তবে সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করার পর অসংখ্য তরুণ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে আবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ থাই সীমান্তের মায়ো সোটে আশ্রয় খুঁজছে।