×

আন্তর্জাতিক

মোদি

ভারতে কোনো স্বৈরাচার নেই, যারা বলেন সবই কল্পকাহিনী

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম

ভারতে কোনো স্বৈরাচার নেই, যারা বলেন সবই কল্পকাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের (জাতীয় সংসদ নির্বাচন) দ্বিতীয় পর্ব সবেমাত্র শেষ হয়েছে। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তার দেশ কোনো স্বৈরাচারের দিকে ধাবিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, যারা বলছেন তার শাসনে ভারত ‘নির্বাচনী স্বৈরাচার’ হয়ে উঠছে তা তার ক্ষোভ প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে; এসবই কল্পকাহিনী মাত্র।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটিতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বীদের দুর্বল করতে অপরাধমূলক তদন্তকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে; এমন অভিযোগের পর এ কথা বলেছেন মোদি।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা ক্ষমতায় আসতে না পেরে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের মানহানি করা শুরু করেছে। তারা আমাদের জনগণ, আমাদের গণতন্ত্র এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মিথ্যা ছড়িয়েছে।’

এদিকে ভারতীয়দের মধ্যে প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকার পরেও মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চলতি লোকসভা নির্বাচনেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি মোদির বিরোধীদের বিরুদ্ধে যে তদন্তমূলক পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে তাতে তার পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আরো বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কর সংক্রান্ত মামলায় তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছিলো।

অন্যদিকে ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৫টি আসন থেকে মোট ২ হাজার ৯৬৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা করেছেন। দেশটির নির্বাচন কমিশন বলছে, তৃতীয় দফার জন্য গুজরাটের ২৬টি আসন থেকে ৬৫৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। যা তৃতীয় দফার সর্বোচ্চ। এরপর রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানকার ১১টি আসন থেকে মনোনয়ন জমা করেছেন ৫১৯ জন প্রার্থী। এর মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে মহারাষ্ট্রের ওসমানাবাদ আসন থেকে। ওই কেন্দ্রে লড়ছেন ৭৭ জন প্রার্থী। এরপরই রয়েছে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর। সেখান মনোনয়ন জমা করেছেন মোচ ৬৮ জন প্রার্থী। তবে এতগুলি মনোনয়নের মধ্যে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫৬৩টি মনোনয়ন। এর মধ্যে ৮ জন প্রার্থী রয়েছে মধ্য প্রদেশের বেতুল কেন্দ্র থেকে। এই কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা ছিলো দ্বিতীয় দফায়।

অন্যদিকে, গুজরাটের সুরাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালাল। আটজন প্রার্থী তার কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এরপরই সাংসদ নির্বাচিত হন বিজেপির মুকেশ দালাল।

এবারের পর্বে ভোট ময়দানে খোদ অমিত শাহ। গুজরাটের গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী তিনি। এ ছাড়াও মধ্য প্রদেশের বিদিশা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। রয়েছেন উত্তর প্রদেশের মইনপুরী কেন্দ্রের প্রার্থী ডিম্পল যাদব। বাংলায় মুর্শিদাবাদ থেকে লড়ছেন CPIM-এর রাজ্য সম্পাদক মো. সেলিম।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো অধিকার গোষ্ঠীকেও তাদের স্থানীয় কার্যক্রম মারাত্মকভাবে কম করতে হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App