যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলার শুনানির জন্য ১২ সদস্যের জুরি বোর্ড গঠন করেছে নিউইয়র্ক আদালত। 

শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খোলার জন্য ট্রাম্প ঘুষ দিয়েছিলেন কি না, এবং তা ফৌজদারি মামলা হিসাবে গ্রহণযোগ্য কি না, তা স্থির করবে ওই জুরি বোর্ড। শুক্রবারই প্রথম বৈঠক হয়েছে জুরি বোর্ডের।

ট্রাম্প এবং সরকারপক্ষের আইনজীবীদের সর্বসম্মতির ভিত্তিতে সাতজন পুরুষ এবং পাঁচ নারীকে নিয়ে ওই জুরি বোর্ড গঠন করে আদালত। স্টর্মিকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ‘ঘুষ’ দেয়ার ফৌজদারি মামলায় গত বছরের মার্চে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছিল নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি। গত বছরের এপ্রিলে তাকে ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ এবং গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। যদিও গ্রেপ্তারের পরেই জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রবীণ নেতা।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসাবে ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প। পর্নতারকা স্টর্মির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তার মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্প ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। 

ওই টাকা দেয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক সংস্থার নথিপত্রে জালিয়াতি করেছিলেন বলেও অভিযোগ। ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন দাবি করেছিলেন, তিনিই ট্রাম্পের হয়ে স্টর্মি এবং অন্য এক মডেল কারেনের কাছে অর্থ পৌঁছে দেয়ার কাজ করেছিলেন।

যদিও ট্রাম্প গোড়া থেকেই ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সে সময় ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ অভিযোগের তদন্ত করেছিলেন। তিনি ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য। ফলে ‘রাজনৈতিক চক্রান্তের’ অভিযোগ তুলেছে ট্রাম্প শিবির। 

চলতি বছরের নভেম্বরে আমেরিকার প্রেডিডেন্ট নির্বাচন। ইতিমধ্যেই রিপাবলিকান ককাসে ‘প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী’ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু এই ফৌজদারি মামলা তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা ট্রাম্প সমর্থকদের।