ইরানে বিমান চলাচল বন্ধ, সিরিয়া-ইরাকে ব্যাপক বিস্ফোরণ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫ এএম
ছবি: সংগৃহীত
বদলা হিসেবে এবার ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। এরপরই ইরানের বড় শহরগুলোর পাশাপাশি কয়েকটি এলাকায় বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এমনকি ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে আকাশে উড্ডয়নরত ফ্লাইটও। এছাড়া সিরিয়ায় সামরিক অবকাঠামোগুলোর পাশাপাশি ইরাকেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদসাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
বিবিসি বলছে, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে বলে দুই মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ইরানের ইসফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ফারস জানিয়েছে, শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি এই নিউজ এজেন্সি।
নিউজ এজেন্সি বলছে, ইসফাহান, শিরাক্স এবং তেহরানসহ ইরানের প্রধান শহরগুলোতে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া রিপোর্ট করছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এয়ারলাইন্স এমিরেটস এবং ফ্লাই দুবাই শুক্রবার ভোরে পশ্চিম ইরানের ওপর তাদের ফ্লাইটগুলোকে ডাইভার্ট করা শুরু করেছে।
এদিকে সিরিয়ায় সামরিক অবকাঠামোগুলোতেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, সিরিয়ায় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে।
আইআরএনএ আরো বলেছে, ‘আদ্রা’ ও ‘আল-থালা’ সামরিক বিমানবন্দর এবং ‘আদ্রা’ শহর এবং দক্ষিণ সিরিয়ার ‘কারফা’ গ্রামের মধ্যে অবস্থিত একটি রাডার ব্যাটালিয়নেও হামলা হয়েছে। এদিকে, ইরাকের বাবেলের আল-ইমাম এলাকায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে আল জাজিরা।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বিমান হামলার জবাবে গত শনিবার ইসরায়েলে ৩০০’রও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তেহরান।
কনস্যুলেটে হামলার জন্য ইরান ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছে। এই হামলার জবাব দেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলকে পাল্টা হামলা না চালানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।