ইসরায়েলে যে ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী, সেই হামলা ছিলো ‘সংক্ষিপ্ত’ এবং এতে শুধু সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল উল্লেখ করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, সংবাদ সম্মেলনে আবদুল্লাহিয়ান বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তু ছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দা বিভাগ ও সামরিক বিভাগের বিভিন্ন স্থাপনা। কারণ গত ৬ মাস ধরে জায়নবাদী এই রাষ্ট্রটি চালাচ্ছে এই দু’টি বিভাগই।’।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) ইরানের রাজধানী তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি ।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলের কোনো অর্থনৈতিক বা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে হামলা চালায়নি। এমনকি সামরিক স্থাপনায় হামলার ক্ষেত্রে এমন সব স্থাপনা বা এলাকা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখানে সেনা সদস্য বা সেনা-কর্মকর্তারা থাকেন কিংবা অবস্থান করেন। জায়নবাদী এই রাষ্ট্রটিকে হুঁশিয়ারি দেয়ার জন্য সংক্ষিপ্ত এই হামলা খুবই জরুরি ছিলো।’ এছাড়া ইসরায়েলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়নি বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছিলো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিহত হন ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর একজন কমান্ডার ও একাধিক সেনা কর্মকর্তা ছিলেন।

কিন্তু ওই হামলার দায় এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি ইসরায়েল। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ যা পাওয়া গেছে, তাতে হামলাটি যে আইডিএফ করেছিলো— তা পরিষ্কার।

পরে ওই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন— এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

খামেনির এমন হুশিয়ারি বার্তার পর শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। হামলায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলের ৯টি স্থাপনায় ইরানি ড্রোন আঘাত হানতে সফল হয়েছে বলে জানা গেছে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে চরম দ্বন্দ্ব রয়েছে ইরানের। সেই দ্বন্দ্ব আরো ব্যাপকভাবে বেড়েছে গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে।

সূত্র: ইরনা