×

আন্তর্জাতিক

জিম্মি প্রত্যাবর্তন চুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে নজিরবিহীন বিক্ষোভ

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৫ এএম

জিম্মি প্রত্যাবর্তন চুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে নজিরবিহীন বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের রাস্তায় বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভটিতে গাজায় জিম্মিদের প্রত্যাবর্তনে একটি চুক্তির দাবিতে প্রায় লক্ষাধিক ইসরায়েলি বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।

ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) গাজায় জিম্মি থাকা ইলাদ কাটজির মরদেহ উদ্ধার করার পর রাজধানী তেল আবিব ও অন্যান্য শহরে নেতানিয়াহু বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। খবর বিবিসির। 

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা- এখন নির্বাচন এবং ইলাদ আমরা দুঃখিত বলে শ্লোগান দিতে থাকে। 

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ ইতিমধ্যে ছয় মাস অতিক্রম করেছে।

তেল আবিবে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে গাজায় জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের পরিবারের সদস্যরা যোগ দিয়েছে। এসময় দারা গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি থাকা প্রায় ১৩০ জন জিম্মিকে মুক্ত করতে সরকারের অক্ষমতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে।

এর আগে গত শনিবার (৬ এপ্রিল) আইডিএফ ইলাদ কাটজি নামের এক ইসরালি জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করে। ইলাদকে গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর হামাস জিম্মি করে গাজার অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এলাদকে জীবিত অবস্থায় সর্বশেষ দেখা গেছে।

ছবি: সংগৃহীত

সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী নোয়াম পেরি নামের একজন ইসরায়েলি বিবিসিকে বলেন, ‘ইলাদ কাটজি হামাসের বন্দিশালায় প্রায় ৩ মাস বেচে ছিলেন। তাকে সময়মত মুক্ত করতে পারলে সে হয়ত আজকে আমাদের সঙ্গেই থাকতো। কিন্তু সরকারের ‍ব্যর্থতায় আজ তাকে প্রাণ দিতে হলো।’ 

বিক্ষোভ আয়োজকদের দাবি ইসরায়েলের অন্তত ৫০টি জায়গায় জনগণ নজিরবিহীন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। সিরিজ বিক্ষোভে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করা হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ তিনি হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তিনি জিম্মিদের উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছেন।  

এদিকে তেল আবিবের বিক্ষোভে ভিরের মধ্যে একটি গাড়ির চাপায় অন্তত ৫ বিক্ষোভকারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রবিবার হামাসের হামলার পর গাজায় চলমান যুদ্ধে উভয় পক্ষকে একটি চুক্তিতে আনতে এবং যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে কায়রোতে মিলিত হচ্ছে উভয় পক্ষ। এ বৈঠকে যোগ দিতে পারে সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি। 

ইলাদ কাটজিরের বোন কারমিন পাল্টি কাটজি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোষ্টে তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বলেছেন যে সরকার হামাসের সঙ্গে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হলে ইলাদকে জীবিত ফিরিয়ে আনা যেত। 

তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের নেতৃত্ব কাপুরুষ এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় চালিত। যে কারণে এই চুক্তিটি এখনও হয়নি।’

কারমিন প্রধানমন্ত্রী ও যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও এর জোটের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আয়নায় নিজেদের চেহারার দিকে তাকান। আপনার হাতও কি রক্তে রঞ্জিত নয়।’

৭ অক্টোবরের হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় যাদের অধিকাংশই ছিল বেসামরিক। এর পরই ইসরায়েল গাজায় অভিযান শুরু করে এবং দুপক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। 

ইসরায়েলের দাবি হামাস গাজায় ২৫৩ ইসরায়েলি এবং বিদেশীকে জিম্মি করে রেখেছে। জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১২ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App