×

আন্তর্জাতিক

ফের প্রকাশ্যে ইসরায়েলের গভীর রাজনৈতিক বিভাজন

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম

ফের প্রকাশ্যে ইসরায়েলের গভীর রাজনৈতিক বিভাজন

ছবি: সংগৃহীত

ফের প্রকাশ্যে এসেছে ইসরায়েলের গভীর রাজনৈতিক বিভাজন। প্রায় ছয় মাস পর ইসরায়েলের শহরগুলোতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। চলমান যুদ্ধ ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তাদের সংকল্পকে আরো শক্তি দিয়েছে। 

তেল আবিব, জেরুজালেম, সিজারিয়া, রানানা এবং হার্জলিয়াতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। জেরুজালেমে শহরের একটি মহাসড়ক বেগিন বুলেভার্ড অবরোধকারী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার করেছে। খবর: বিবিসির। 

এই বিক্ষোভে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ এবং আগাম নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান উঠেছে। একইসঙ্গে গাজায় এখনো বন্দী ১৩৪ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করার দাবিও জানানো হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই বন্দীদের অনেকেই মারা গেছেন। এই বন্দীদের স্বজনদের পাশাপাশি প্রতিবাদকারীদের বড় ভয় হলো এভাবে আরো অনেককেই প্রাণ দিতে হবে।  

বিক্ষোভকারীরা এবং নেতানিয়াহুর সমালোচকরা বলছেন যে, গণতন্ত্রের শত্রুরা ইতিমধ্যেই তার সরকারে ঢুকে পড়েছে। এরমধ্যে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের নেতৃত্বে ধর্মীয় জায়োনিজম পার্টি অন্যতম। বেনজামিন নেতানিয়াহু একসময় বলেছেন তিনিই একমাত্র তার দেশকে নিরাপদ রাখতে পারেন। অনেক ইসরায়েলি তাকে বিশ্বাসও করেছিলেন। 

তেল আবিবের কাপলান স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তারা শহরের কিরিয়া সামরিক সদর দপ্তরের প্রবেশদ্বার বিগিন গেটে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করছেন।

বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘কেউ যাবে না! আমরা জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করব এবং সেখানেই থাকব, যতক্ষণ না সরকার ভেঙে দেয়া হয়।’

তেল আবিবের হোস্টেজ স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত একটি পৃথক সমাবেশে হামাসের বন্দিদশা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে গাজায় আটক থাকা সমস্ত জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।

উপকূলীয় শহর সিজারিয়াতে বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘ধ্বংসের দেবদূতের জন্য কোন ক্ষমা নেই’ এবং ‘ব্যর্থতা ও পরিত্যাগের জন্য কোন ক্ষমা নেই’ স্লোগান দেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস সীমান্তের তার দিয়ে ঝড়ের পর সব বদলে যায়। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App