×

আন্তর্জাতিক

জিম্মিদের দ্রুত উদ্ধারের আহ্বান মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলির

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৪, ০১:৪৮ পিএম

জিম্মিদের দ্রুত উদ্ধারের আহ্বান মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলির

ছবি: সংগৃহীত

চলমান গাজা যুদ্ধে নভেম্বরে যুদ্ধবিরতিতে মুক্তি পাওয়া ১০৫ জিম্মির মধ্যে ছিলেন ইতাই রেগেভ। ৩ মাস আগে গাজা থেকে মুক্ত হওয়া এই ইসরায়েলি জিম্মি বিশ্বকে অভিযুক্ত করেছেন গাজায় বন্দিদের ভুলে যাওয়ার জন্য। তিনি এসময় ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধারে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।

ইতাই রেগেভ (১৯) নামের মুক্তি পাওয়া এই জিম্মি বলেছেন, ‘আমাকে খুবই ভয়ঙ্কর একটি পরিবেশে আটকে রাখা হয়েছে। জীবিত বেরিয়ে আসতে পারবো বলে মনে করিনি। ভাগ্য ভালো বলেই বেরিয়ে আসতে পেরেছি।’ খবর বিবিসির। 

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০২৩ এর ৭ নভেম্বর নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে ইতাই, তার বোন ও এক বন্ধুকে অপহরণ করে গাজার অভ্যন্তরে নিয়ে যায় হামাস। পরে সেখান থেকে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ২৪০ বন্দীর বিনিময়ে ইতাইসহ আরো ১৩০ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। 

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা হলেও কার্যত কোন স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি হয়নি। হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিসহ ইসরায়েলের কাছে একাধিক শর্ত দিয়েছে। অন্যদিকে হামাসের এ দাবিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অভিহিত করেছেন ভ্রম হিসেবে।

ইতাই জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি যেকোনো মূল্যেই হোক জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা হোক। কারণ যে কোন কিছুর চাইতে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি।’ 

জানা যায়, ইতেইয়ের বন্ধু ওমের শেম তোভসহ প্রায় ১৩০ জন এখনো গাজায় জিম্মি হিসেবে রয়েছেন। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের ধারনা তাদের মধ্যে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

লন্ডনে যুক্তরাজ্যের এমপিদের সঙ্গে জিম্মিদের দুর্দশার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ইতাই বলেন, ‘আমি গাজায় জিম্মিদের সঙ্গে ছিলাম। তাদের দুর্দশা আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি। ৫ মাস ধরে তারা জিম্মি অবস্থায় আছে, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের মুক্তির বিষয়ে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাই।’ 

নিজের জিম্মি দশার বর্ণনা করেতে গিয়ে ইতাই বলেন, ‘আমি ৫ মাস সূর্যের আলো দেখিনি। এসময় ভয়ঙ্কর ক্ষুধার্ত ছিলাম, গোসল করতে পারিনি। এক সেকেন্ড পরে আমার ভাগ্যে কি হতে চলেছে তাও অনুমান করতে পারিনি। আমার পায়ে ক্ষতে সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু তার আমাকের কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। ৫৪ দিন আমি নরক যন্ত্রণা ভোগ করে অবশেষে মুক্তি পেয়েছি।’

ইতাই ৭ অক্টোবরের অবিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘নোভা উৎসবে হামলা চলিয়ে হামাস সদস্যরা এলোপাথাড়ি গুলি করে অনেককে হত্যা করে। আমাকেসহ আরে অনেককেই জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। তার আগে আমরা পালানোর চেষ্টা করেছি। তখন আমার পায়ে গুলি লাগে। আমার বোনের পায়েও গুলি লাগে। আমরা মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। আমাদের পরে একটি জিপে তুলে গাজার অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। আমাদেরকে একটি সুড়ঙ্গের মুখে নামানো হয়। সেখানে ভেতরে একটি ঘরে আমাদেরকে রাখা হয় । সেটিকে আমাদের কাছে হাসপাতাল মনে হয়েছে। পরে ডাক্তার এসে আমাদের চিকিৎসা দিয়েছে। আমার ও আমার বোনের পায়ের গুলি অপসারণ করেছে। এসময় আমাদের আশেপাশে হামাস সদস্যরা উপস্থিত ছিল।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App