×

আন্তর্জাতিক

ফের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেহবাজ?

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:২৪ পিএম

ফের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেহবাজ?

আবারো একবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেহবাজ শরিফ। মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) নেত্রী এবং সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব গণমাধ্যমকে এ তথা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, দলীয়ভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য শেহবাজ শরিফ এবং পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পিএমএলএনের নেত্রী মরিয়ম নওয়াজকে মনোনীত করা হয়েছে। শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিএমএলএন চেয়ারম্যান নওয়াজ শরিফের ছোটভাই এবং মরিয়ম নওয়াজ হলেন নওয়াজ শরিফের মেয়ে।

এক্সে করা একটি পোস্টে মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের নেতা মুহম্মদ নওয়াজ শরিফ, মুহম্মদ শেহবাজ শরিফকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত করেছেন, সেই সঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য  তিনি মিস মরিয়ম নওয়াজ শরীফকে মনোনীত করেছেন।’

এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জিতে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করে পিটিআই, দলটির চেয়ারম্যান ইমরান খান হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী এবং পিএমএলএনের তৎকালীন চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফ হন বিরোধী দলীয় নেতা।

২০২২ সালের ১০ এপ্রিল বিরোধী এমপিদের ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান। তারপর পিএমএলএন- পিপিপির সমন্বয়ে গঠিত হয় নতুন জোট সরকার এবং সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরিফ। ওই মেয়াদে ১৬ মাস দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি। এসব আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে নির্বাচন হয়েছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি। সরকার গঠনের জন্য ‍কোন দল বা জোটকে অন্তত ১৩৩টি আসনে জয়ী হতে হবে। এদিকে ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ৯৩ টি আসনে জয় পেয়েছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পাটি (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যথাক্রমে ৭৫টি পেয়েছে নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং ৫৪টি পেয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)— ১৭টি আসন, জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম- ফজলুর (জেইউআইএফ)—৪টি আসন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯টি আসন।

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় কয়েকদিন ধরে অনিশ্চয়তা চলছিল পাকিস্তানের রাজনীতিতে। পরে পিএমএলএন ও পিপিপির জোট গঠনের ঘোষণা করেন পিপিএলএমের নেত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব।

বিলাওয়াল বলেন, এটা সত্য যে পিপিপির কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের ম্যান্ডেট নেই। আর এই কারণে আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতায় থাকছি না। পিপিপি কেন্দ্রে সরকার গঠনের অবস্থানে না থাকায় কোনও মন্ত্রণালয়েও যোগ দেবে না। আমরা দেশে বিশৃঙ্খলা বা দেশে চিরস্থায়ী সংকট দেখতে চাই না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App