×

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের নির্বাচন

তদন্তের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইইউর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম

তদন্তের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইইউর

নির্বাচনে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ ও ফলাফলে কারচুপির অভিযোগে তুলে পাকিস্তানের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

বৃহস্পতিবার হওয়া এই ভোটের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পৃথকভাবে পাকিস্তানের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল এবং ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে মূল লড়াই চলে। দুজনেই আলাদাভাবে নিজেদের বিজয়ী দাবি করছে।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই এবার ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে। এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে কোনো দলকে ১৩৩টি আসনে জিততে হবে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের বেশির ভাগই পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। এরপর নওয়াজের পিএমএল-এন ৭১টি, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৩টি এবং এমকিউএম ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।

এবারের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে অধিকারকর্মীদের আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অনিয়ম, হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে।

ইমরান খান ও তার দল মনে করে, এবারের নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সেনাবাহিনী সমর্থন জানিয়েছে নওয়াজ শরিফকে।

বিবৃতিতে ইইউ জানিয়েছে, নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) ছিল না। সেই সঙ্গে সমাবেশের স্বাধীনতা ও বাক্‌স্বাধীনতার ঘাটতি দেখা গেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতার কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ইইউ।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাক্‌স্বাধীনতা ও সমাবেশের স্বাধীনতার ওপর অযৌক্তিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে সহিংসতা ও সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও দেখা গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App