ইয়েমেনে
আবার হামলা চালিয়েছে লোহিত সাগরে মোতায়েন সন্ত্রাসী মার্কিন সেনারা।শনিবার আরব এই দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয়
কৌশলগত হুদায়দা বন্দরে হামলা চালানো হয়। এ
নিয়ে দু’দিনে ইয়েমেনে
তিনবার হামলা চালাল মার্কিন বাহিনী। এর মধ্যে প্রথম
হামলায় ব্রিটিশ সেনারা অংশ নিলেও পরের দু’বারের হামলা
থেকে তারা সরে দাঁড়িয়েছে। খবর রয়টার্সের।
হুথি
সমর্থিত জাতীয় ঐক্যমত্য সরকারের একটি সামরিক সূত্র বলেছে, হুদায়দা বন্দরের বাইরে হুথি যোদ্ধাদের একটি রকেট লঞ্চার সাইটে শনিবার হামলা চালায় মার্কিন সেনারা। তবে
হামলাটি জাহাজ থেকে নাকি বিমান থেকে চালানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
হুদায়দা বন্দরের হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে হুথি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর
আগে শনিবার ভোররাতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস কারনি থেকে ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি রাডার স্থাপনা লক্ষ্য করে একাধিক টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ওই হামলার আগে
শুক্রবার ভোররাতে ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছিল ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী।
এদিকে,
শনিবার মার্কিন হামলার পর হুথিরা এর
কঠিন জবাব দেয়া হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ার করেছে।
অস্ট্রেলিয়া
এবং কানাডাসহ পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সমর্থনে গত শুক্রবার ভোররাতে
প্রায় ৩০টি হুথি অবস্থানকে লক্ষ্য করে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে বিমান হামলা চালায়। এর একদিন পর
শনিবার টমাহক ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে ইয়েমেনের হুথি রাডার সাইটে আবারও হামলার কথা জানায় ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড।
ইয়েমেনের
আল-মাসিরা টেলিভিশন জানায়, শনিবার ভোররাতে সানার আদ-দাইলামি বিমান
ঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। তবে ইয়েমেনের তথ্য উপমন্ত্রী নাসরেদ্দিন আমের জানিয়েছেন, হামলায় বিমান ঘাঁটিটির কোনো ক্ষতি হয়নি এবং কেউ আহতও হয়নি।
এদিকে
আনসারুল্লাহ মুখপাত্র মোহাম্মাদ আব্দুস সালাম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, মার্কিন হামলা তাদেরকে ইসরাইলি মালিকানাধীন বা ইসরাইলগামি জাহাজে
হামলা চালানো থেকে বিরত রাখতে পারবে না।
অবরুদ্ধ
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনী গত ১০০ দিন
ধরে যে গণহত্যা চালাচ্ছে
তার প্রতিবাদে লোহিত সাগর ও বাব আল-মান্দাব প্রণালিতে ইসরাইলি মালিকানাধীন বা ইসরাইলগামি জাহাজে
হামলা চালিয়ে আসছে হুথি সমর্থিত ইয়েমেনের সেনাবাহিনী। সানাকে
এ কাজে বিরত রাখতেই মূলত গত দু’দিনে
দেশটিতে তিনবার আগ্রাসন চালালো গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রধান সহযোগী আমেরিকা।