×

আন্তর্জাতিক

বিলকিস বানু

ধর্ষকদের মুক্তি বাতিল করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম

ধর্ষকদের মুক্তি বাতিল করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

বিলকিস বানু ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তি বাতিল করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে গুজরাট সরকারের দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে।

এই মামলায় ভুক্তভোগীর আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘একজন নারী সম্মান পাওয়ার যোগ্য। সে সমাজের যত নিম্নই হোক না কেন বা সে যে কোনো ধর্মে বিশ্বাস করুক না কেন।’

সুপ্রিম কোর্ট আরো জানায়, সাজা মওকুফের বিষয়টি রাজ্য সরকার বিবেচনা করতে পারে। সংসদ ও সংবিধান রাজ্য সরকারকে সে ক্ষমতা দিয়েছে। কিন্তু আসামিদের ছাড়ের আদেশের ক্ষেত্রে এরকম স্পর্শকাতর বিষয়ে অবশ্যই সরকারের উচিত ছিল আদালতের অনুমতি নেয়া।

গুজরাটে ধর্মীয় সংঘর্ষের সময় যা কুখ্যাত গুজরাট দাঙ্গায় ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানু। গ্রেফতাররা জামিন পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করে গুজরাটের একাধিক বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী নেতা। তবে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশে সেই উল্লাস কিছুটা হলেও থামে।

উল্লেখ্য, বিলকিস বানুকে গুজরাটের রনধিকপুর গ্রামে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। এসময় তার পরিবারের ৭ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে তার ৩ বছরের মেয়েও ছিল। ২০০২ সালের ৩ মার্চ গোধরা ট্রেন পোড়ানোর পরে শুরু হওয়া গুজরাট দাঙ্গায় এরা নিহত হয়েছিলেন। সে সময় বিলকিস বানুর বয়স ছিল ২১ বছর। এসময় তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মুম্বাইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে মুম্বাই হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তাদের সাজা বহাল রাখে।

পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ১১ জন দোষীকে গোধরা সাব-জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। গুজরাটের বিজেপি সরকার তাদের ক্ষমা নীতির অধীনে মুক্তির অনুমতি দেয়। সাজাপ্রাপ্তরা ১৫ বছরেরও বেশি সময় জেল খেটেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App