করোনাযুদ্ধে যেভাবে জয়ের পথে তাইওয়ান
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২০, ০৭:৪১ পিএম
ছবি: পয়েন্টার
অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা। অভিজ্ঞতা থাকলে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়। সামনে দ্রুত পা বাড়ানো যায়। অভিজ্ঞ তাইওয়ানও সঙ্কট মোকাবেলায় এগিয়ে যাচ্ছে। তার আগে তাইওয়ান সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই-
তাইওয়ানের অবস্থান চীনের কাছাকাছি। জনসংখ্যা মাত্র দুই কোটি ৩০ লাখ। চীনের পর এই তাইওয়ানকেই ‘বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ’ স্থান হিসেবে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। কারণ দেশটির সাড়ে আট লাখ মানুষ চীনের মূল ভূখণ্ডে কাজ করেন। তবে দেশটির ঝুঁকি এখন শুন্যের কোঠায়। দেশটি এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যভূক্ত নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে দেশটির কোনো রোগীর তথ্যও নেই।
এক মাসেরও বেশি সময় পর তাইওয়ানে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়নি। করোনা মহামারিতে পুরো বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত, তখন ভাইরাসটি প্রতিরোধে তাইওয়ান অন্য দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে।
দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ান গত জানুয়ারি থেকে করোনা পরীক্ষা করে আসছে। সামান্য লক্ষণ ও ভ্রমণ ইতিহাস থাকলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরীক্ষা করা হতো। সে সময় তাদের পাশ্ববর্তী দেশে চীনে মৃত্যুর মিছিল চলছিল।
বৈশ্বিক জরিপকারী সংস্থা ওয়াল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত তাইওয়ানে ৩৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৩৩৮ জনই বিদেশফেরত। আর মারা গেছেন ৬ জন। দেশটিতে নতুন করে আজ (১৪ এপ্রিল) কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।
এর কারণ হিসেবে রয়েছে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, ব্যাপক হারে পরীক্ষা, রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত ও কঠোর কোয়ারেন্টাইনে দেশটি দৃঢ়তার সঙ্গে কার্যকর করেছে।
এছাড়া ২০০৩ সাল তাইওয়ান মহামারি সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। সার্স সেসময় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
নতুন করে কোনো কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত না হওয়ায় দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী চেন শিহ-চুং খুশির সঙ্গে বলেন, অবশ্যই, আমরা আশা করি করোনার সংক্রমণ শেষ হয়ে গেছে। তবে আমাদের এখনও সতর্ক থাকা দরকার।