ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে মোকাবিলায় গাজা উপত্যকার নিচে যোদ্ধাদের ব্যবহার করা টানেলগুলো সম্ভবত সাগরের পানি দিয়ে ভরে ফেলার কথা বিবেচনা করছে ইসরায়েল। খবর রয়টার্সের।

সম্প্রতি ইসরায়েল অনেকগুলো পাম্প জুড়ে পানি প্রবাহের একটি বড় ব্যবস্থা করেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, এটি গাজার টানেলগুলো প্লাবিত করতে ব্যবহার করা হতে পারে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি গাজার উত্তরাংশে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির আল-শাতির প্রায় আধ মাইল উত্তরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অন্তত পাঁচটি পাম্প জুড়ে এ ধরনের একটি ব্যবস্থা করে রেখেছে।

প্রতি ঘণ্টায় এই পাম্পগুলো কয়েক হাজার ঘনমিটার পানি প্রবাহিত করতে পারবে, যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গাজার ভূগর্ভস্থ টানেলগুলো প্লাবিত করে ফেলবে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলেও এর বিস্তারিত যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটি রয়টার্সের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মার্কিন এক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বোধগম্য কারণেই ইসরায়েলের টানেলগুলো অকার্যকর করে দিতে চায় আর এটি করতে তারা উপায়ের সন্ধানে ছিল।

রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক কর্মকর্তা টানেল প্লাবিত করার পরিকল্পনা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তিনি বলেছেন, “হামাসের সন্ত্রাসের সক্ষমতা গুড়িয়ে দিতে আইডিএফ বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা নানা সামরিক ও প্রায়োগিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে।”

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানিয়েছে, ইসরায়েল গত মাসে এ পরিকল্পনার বিষয়টি প্রথম যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কতোটা কাছাকাছি রয়েছে তা মার্কিন কর্মকর্তাদের জানা নেই।

প্রতিবেদনে এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ইসরায়েল এখনও নেয়নি বা এটি বাতিলও করেনি।