কোনো ধরণের রক্তপাত ছাড়াই জার্মানির হামবুর্গ বিমানবন্দরের জিম্মি নাটকের অবসান হয়েছে। ঘটনার হোতা পুলিশের কাছে বিনা বাধায় আত্মসমর্পণ করেছেন। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তার সঙ্গে থাকা চার বছরের শিশুটিকে। খবর: বিবিসির। ৩৫ বছর বয়সের ওই ব্যক্তি তার চার বছরের মেয়েকে নিয়ে শনিবার রাতে গাড়ি চালিয়ে হামবুর্গ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে টারমাকে গিয়ে একটি উড়োজাহাজের নিচে আশ্রয় নেয়। এসময় তার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল এবং তার এ কাণ্ডের পরপরই বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ ওই এলাকা ঘিরে ফেলে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি দুইবার আকাশে গুলি ছোড়েন এবং গাড়ি থেকে একাধিক জ্বলন্ত বোতল ছুঁড়ে মারেন। পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি যে উড়োজাহাজটির নিচে আশ্রয় নিয়েছেন সেটি তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীভর্তি বাণিজ্যিক ফ্লাইট ছিল, যেটি সে ময় উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। উড়োজাহাজটি থেকে পরে যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। এ কাণ্ডের কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হলে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হয় এবং বিমানবন্দরে আসা শত শত যাত্রীকে হোটেলে পাঠাতে হয়। পুলিশ শুরুতে ওই ব্যক্তির এ কাণ্ডের উদ্দেশ বুঝতে না পারলেও পরে শিশুটির মা জানায়, সন্তানের হেফাজত নিয়ে তার সঙ্গে তার সাবেক স্বামীর দ্বন্দ্বের কারণে সে এমনটা করেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সময় রোববার ভোররাত পর্যন্ত হামবুর্গ বিমানবন্দরে ২৭টি ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়।