গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দেশে দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ও কানাডায়। এসব বিক্ষোভে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক হামলা বন্ধের দাবি করা হয়।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) এ তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্সের ও বিবিসির।

জানা যায়, টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারী রাজধানী শহর লন্ডন এবং ম্যানচেস্টারসহ যুক্তরাজ্যজুড়ে রাস্তায় নেমেছেন। এর মধ্যে লন্ডনে বিবিসির নিউ ব্রডকাস্টিং হাউস থেকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ।

এসময় লন্ডনে এক হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভ থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে একজনকে ফৌজদারি অপরাধের জন্য এবং দুজনকে জনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়।

হাজার হাজার ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারী শনিবার লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে মিছিল করেছেন। এসময় তারা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করার দাবি জানান।

এদিন বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ফিলিস্তিনি পতাকা ও ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অক্সফোর্ড সার্কাসের কাছে জড়ো হন এবং পরে সেখান থেকে মিছিল করে তারা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সরকারি বাসভবন ও অফিস ডাউনিং স্ট্রিটের দিকে যান।

এসময় ইসরায়েলকে সমর্থন করার জন্য ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন।

রয়টার্স বলছে, বেলাল স্টিতান নামে ২২ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী শনিবার লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেন। এসময় তিনি গাজায় তার আত্মীয়দের জন্য ভীত বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘গাজায় কেউই ঠিক নেই। আমার পরিবার সবাই গাজায় আছে এবং তাদের কেউই ঠিক নেই।’

তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি মানবতার জন্য অনেক বড় সমস্যা এবং আমি বিশ্বকে বলব, মনে রাখবেন যে আমরা মানুষ..., আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে, আমরা এখানে (গাজায়) আছি।’

আল জাজিরা বলছে, শনিবার আয়ারল্যান্ড ও কানাডার জনগণ ফিলিস্তিনের পক্ষে সমাবেশ করেছে। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভকারীরা তাদের শহরের রাস্তায় নেমে আসছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

এছাড়া আইরিশ রাজধানী ডাবলিন এবং কানাডার মিসিসাগা শহরে ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভের কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।