×

আন্তর্জাতিক

সিঙ্গাপুরে ১০ অর্থপাচারকারী গ্রেপ্তার, সন্দেহের তালিকায় স্ত্রীরাও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম

সিঙ্গাপুরে ১০ অর্থপাচারকারী গ্রেপ্তার, সন্দেহের তালিকায় স্ত্রীরাও

১০ অভিযুক্তের স্ত্রীরাও আর্থিকভাবে বেশ প্রভাবশালী।

সিঙ্গাপুরে ১ বিলিয়ন সিঙ্গাপুরি ডলারের সমমূল্যের সম্পদ ও অর্থ সহ দশজন অর্থপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। আটক সেসব অর্থ পাচারকারীদের স্ত্রী ও অন্য আত্মীয়-স্বজনের ওপরও নজরদারি চালানো হচ্ছে। আটককৃতদের সঙ্গে পরিচয় আছে এমন ব্যক্তিদের সম্পদ ও ব্যবসা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। মালয়েশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমস রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। গত মাসে সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারকারী ও জালিয়াতদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযান চালায় দেশটির আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৭ আগস্ট সিঙ্গাপুরের আইন মন্ত্রণালয় মূল্যবান ধাতু ও দামি পাথর ব্যবসায়ীদের কাছে একটি নোটিশ পাঠায়। ওই নোটিশে ২৪ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তথ্য চাওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে-অভিযুক্তরা এসব ব্যবসার মাধ্যমে কোনো ধরনের সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন কি না সেটি যেন তাদের অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে আদালের শুনানিতে অর্থপাচার মামলার প্রসিউকিশন জানায়, অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে অর্থপাচার মামলায় আটক ১০ ব্যক্তির আত্মীয় ও স্ত্রীরা। সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে, ওই ১০ অভিযুক্তের স্ত্রীরাও আর্থিকভাবে বেশ প্রভাবশালী। ওই ব্যক্তিদের স্ত্রীদের নামেও অঢেল সম্পতি রয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তদের কারো কারো ভাই বা অন্য আত্মীয়দের নামেও অনেক সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। এদিকে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে চালানো সেই অভিযানে যে ১০ জনকে আটক করা হয় তাদের মধ্যে সাইপ্রাস, তুরস্ক, চীন, কম্বোডিয়া এবং নি-ভানুয়াতুর নাগরিকও ছিলেন। যদিও ওই ব্যক্তিদের এসব পাসপোর্ট আসল নাকি জাল ছিল সেটি নিশ্চিত নয়। গত ১৬ আগস্ট এক বিবৃতিতে ওই ১০ অর্থপাচারকারী ও জালিয়াতদের আটক করার বিষয়টি জানানো হয়। মূলত সিঙ্গাপুরকে ব্যবহার করে জালিয়াতরা অর্থপাচারসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে দেয়ার পর এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয় দেশটির পুলিশ। ওই অভিযানের পর দেশটির বাণিজ্য কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ডেভিড চু ঘোষণা দিয়েছিলেন, সিঙ্গাপুরে অবৈধভাবে অর্জিত বা অর্থপাচারের মাধ্যমে গড়া সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেলেই সেগুলো জব্দ করা হবে। তিনি আরো জানিয়েছিলেন, কোনোভাবেই সিঙ্গাপুরকে ব্যবহার করে জালিয়াতি এবং অর্থপাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হবে না। এসবের প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App