×

আন্তর্জাতিক

শস্যচুক্তি নবায়নে কঠোর অবস্থানে পুতিন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৯ এএম

শস্যচুক্তি নবায়নে কঠোর অবস্থানে পুতিন
দাবি পূরণ না হলে রাশিয়া শস্যচুক্তি নবায়ন করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার দাবিপূরণ না করা পর্যন্ত মস্কো এই চুক্তি কার্যকর করবে না। খবর: আল জাজিরা ও রয়টার্সের। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর ইউক্রেনীয় শস্য নিরাপদে রপ্তানির বিষয়ে পুতিন তার এই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। সোমবার রাশিয়ার সোচি শহরে কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী অবকাশ কেন্দ্রে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে পরিচিত শস্য চুক্তিটিকে পুনরুজ্জীবিত করার আশায় এই বৈঠকের আয়োজন করা হলেও নিজেদের দাবি পূরণের বিষয়ে পুতিন তার দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন। এদিন মূলত ভ্লাদিমির পুতিন তার কৃষি রপ্তানির বিষয়ে মস্কোর দাবি পশ্চিমা দেশগুলো পূরণ করার পরেই কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় শস্য নিরাপদে পাঠানোর বিষয়ে জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় ইতোপূর্বে স্বাক্ষরিত চুক্তি পুনঃস্থাপনের বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর ইউক্রেনে সেনা পাঠিয়ে দেশটির কৃষ্ণসাগরের জাহাজ চলাচল পথ ও বন্দরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় মস্কো। এতে করে ইউক্রেনের উৎপাদিত শস্য বন্দরে আটকে যায়। মূলত কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার অবরোধের কারণে ইউক্রেনের বন্দরে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকা কোটি কোটি টন খাদ্যশস্য আটকা পড়ে ছিল। এতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম দ্রুত হারে বাড়তে থাকে যার ফলে দরিদ্র দেশগুলোয় খাদ্য সঙ্কট দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি স্বাভাবিক করতে গত বছরের ২২ জুলাই রাশিয়া–ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। যা কার্যকর হয় গত বছরের আগস্ট মাসের শুরু থেকে। চুক্তির মধ্যস্থতায় ছিল জাতিসংঘ ও তুরস্ক। ওই চুক্তির ফলে রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে তাদের অবরোধ শিথিল করে যাতে ইউক্রেন থেকে সমুদ্রপথের নিরাপদ করিডর দিয়ে খাদ্যবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারে। এতে করে আগস্ট থেকেই ইউক্রেনের তিনটি বন্দর থেকে বাকি বিশ্বে নিরাপদে খাদ্যশস্য রপ্তানির পথ খুলে যায়। মূলত যুদ্ধ সত্ত্বেও বৈশ্বিক খাদ্য সংকট দূর করতে ইউক্রেনকে তার কৃষ্ণসাগর বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল রাশিয়া। তবে এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য রাশিয়ার শর্ত উপেক্ষা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে মস্কো গত জুলাই মাসে সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App