চীনা কর্মকর্তাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম
প্রতীকী ছবি
জাতিসংঘের ৩ বিশেষজ্ঞ গত ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিলেন, চীনে তিব্বতের ১০ লাখের বেশি শিশুকে বিভিন্ন বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে জোরও করা হয়েছে।
অনিচ্ছাসত্ত্বেও তিব্বতের ওই শিশুদের চীনের হান সংস্কৃতিতে বড় করে তোলা এই কর্মসূচির লক্ষ্য বলে মনে করছেন ওই বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, স্কুলগুলোতে মান্দারিন ভাষায় লেখাপড়া করানো হয়। এছাড়া পাঠ্যসূচিতে তিব্বতের সংস্কৃতির কোনো উল্লেখ নেই। মঙ্গলবার তিব্বতে এমন শিক্ষা কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাবেক ও বর্তমান চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর রয়টার্স, আলজাজিরার।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা আবারো শুরু হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, চীনের ‘জবরদস্তিমূলক নীতি’ ‘তিব্বতের তরুণ প্রজন্মের মন থেকে তিব্বতের স্বতন্ত্র ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যগুলো দূর করতে চায়’।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা পিআরসি কর্তৃপক্ষকে তিব্বতের শিশুদের সরকার পরিচালিত বোর্ডিং স্কুলে জোর করে ভর্তি করানো ও দমনমূলক আত্তীকরণ নীতি বন্ধ করার অনুরোধ করছি।
বিবৃতিতে জাতিসংঘের ওই তিন বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনের কথাও উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে’।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, স্থানীয় শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেনে চীনে বোর্ডিং স্কুল স্থাপন করা হয়।
চীনা দূতাবাসের ওই মুখপাত্র বলেন, চীনের জাতিগত সংখ্যালঘু অঞ্চলগুলোতে বোর্ডিং স্কুল ধীরে ধীরে স্কুল পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অধীনে স্কুলগুলো পরিচালিত হওয়ায় জাতিগত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের অনেক পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে যে সমস্যা হত, তারও সমাধান হয়েছে।