জনপ্রিয় আইরিশ গায়িকা সিনিড ও’কনর আর নেই
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৩, ০৯:২২ পিএম
সিনিড ও’কনর। ফাইল ছবি
সিনিড ও’কনর। ফাইল ছবি
জনপ্রিয় আইরিশ সংগীতশিল্পী ও অ্যাকটিভিস্ট সিনিড ও’কনর আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
সিনিড ও’কনরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার। তিনি বলেন, সিনিড ও’কনরের গান বিশ্ববাসীর প্রিয় ছিল ও তার প্রতিভা ছিল অতুলনীয়। খবর বিবিসির।
এছাড়া, দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিন্স শোক প্রকাশ করে গায়িকার সুন্দর ও অনন্য কণ্ঠস্বরের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ড এত অল্প সময়ে যা হারিয়েছে তা হলো আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রতিভাধর সুরকার, গীতিকার ও সাম্প্রতিক দশকের পারফর্মারদের একজন। যিনি শ্রোতাদের জন্য অনন্যপ্রতিভা ও অসাধারণ আকর্ষণ রেখেছেন।
১৯৯০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নাথিং কমপেয়ার্স টু ইউ’ গানের মাধ্যমে সবার নজরে আসেন সিনিড। গানটি মিউজিক চার্টে ওই বছর এক নম্বরে পৌঁছেছিল ও তাকে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এনে দিয়েছিল।
সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং সংগীত জগতে নারীদের আলাদা এক অবস্থান তৈরিতে সিনিডের অবদান অনস্বীকার্য। শুধু সংগীতের মাধ্যমেই নয়; বরং ধর্ম, যৌনতা, নারীবাদ ও যুদ্ধ সম্পর্কে স্পষ্টবাদী মতামতের জন্যও সিনিড বিখ্যাত।
সিনিডের মৃত্যুতে মার্কিন সংগীতশিল্পী টরি এমোস, আইরিশ গায়ক শেন ম্যাকগোয়ান ও রক ব্যান্ড আরইএেএমর শিল্পী মাইকেল স্টিপ শোক প্রকাশ করেছেন।
সিনিডের প্রথম অ্যালবাম ‘দ্য লায়ন অ্যান্ড দ্য কোবরা’ ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয়। তবে ১৯৯০ সালে প্রকাশিত অ্যালবাম ‘আই ডু নট ওয়ান্ট ওয়াট আই হ্যাভেন্ট গট’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি আলোড়ন তৈরি করেন।
মৃত্যুর আগে সিনিড ও'কনরের শেষ অ্যালবাম ‘আই অ্যাম নট বসি, আই অ্যাম দ্য বস’। যেটি প্রকাশ পায় ২০১৪ সালে।
সিনিড তার বিখ্যাত ‘নাথিং কমপেয়ার্স টু ইউ’ গানের জন্য বেশ কয়েকটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হয়েছিলেন। এছাড়া, গানটির জন্য তিনি এমটিভির ‘ভিডিও অব দ্য ইয়ার’ ও ‘বেস্ট ভিডিও বাই অ্যা ফিমেইল আর্টিস্ট’ পুরস্কারে ভূষিত হন।
সিনিডের জন্ম ৮ ডিসেম্বর, ১৯৬৬; আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে।