মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত ১৪
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩, ০৯:১৫ এএম
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার হামলায় ৩ প্রতিরোধ যোদ্ধাসহ ১৪ জন নিহত হয়েছেন।নিহতদের মধ্যে ১১ জনই বেসামরিক লোক।দেশটির সাগাইং অঞ্চলে সেনাবাহিনীর হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী শনিবার (২২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সেনারা গত শুক্রবার সাগাইং অঞ্চলের ইয়ানমাবিন শহরতলীর একটি গ্রামে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক এবং তিনজন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।
ইয়ানমাবিন শহরে অবস্থানরত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা শুক্রবার গভীর রাতে সেখানকার সোনে চৌং নামের একটি গ্রামে অভিযান চালায় এবং তিনজনকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করে। নিহত এই তিনজনই বো তুন তাউক পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সদস্য এবং জান্তার হামলার সময় তারা ওই গ্রামে পাহারা দিচ্ছিলেন।
এরপর তারা আরও ১১ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে বলে গ্রামবাসী জানিয়েছে।নিহত এই বেসামরিক ব্যক্তিদের সবাই পুরুষ।
এক গ্রামবাসী বলেছেন, প্রথমে আমরা গ্রামের মধ্যে তিন প্রতিরোধ যোদ্ধার মৃতদেহ পেয়েছি।জান্তা সৈন্যদের হাতে নিহত গ্রামবাসীর লাশগুলো চারদিকে ছড়িয়ে ছিল। কয়েকজনকে নির্যাতনও করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এছাড়া ওই গ্রামে অভিযানের পর অন্য গ্রামবাসীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়নি।
জান্তার হামলায় নিহত তিন প্রতিরোধ যোদ্ধার নাম- কো পায়ে ফিও তুন, কো সাই থু সান এবং কো নে মিন তুন। আর নিহত বেসামরিক নাগরিকরা হলেন- উ মিও মিন্ট ওও, ইউ কিয়াও ও, উ ইয়ান নাইং সো, ইউ সোয়ে গি, উ অং উইন সোয়ে, উ নায়িং মিন, ইউ টোটে কি, ইউ লুইন মো টুন, উ হতে জাও, উ ফো অং এবং উ অং জাও উইন।
অবশ্য জান্তাপন্থী টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলো নিহতদের একই নাম প্রকাশ করেছে। কিন্তু এসব চ্যানেল বলেছে, নিহতরা সবাই প্রতিরোধ যোদ্ধা।
দ্য ইরাবতীর খবরে বলা হয়, হামলায় নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শনিবার অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৪টি মরদেহ একসঙ্গে দাহ করা হয়।
মিয়ানমারের জান্তা-বিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী ড. সাসা ফেসবুকে পোস্ট করে বলেছেন, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের জান্তা সৈন্যরা প্রায় ৮০টি গণহত্যা চালিয়েছে এবং ইয়ানমাবিনে চালানো নৃশংসতা হচ্ছে জান্তার সংঘটিত তেমনই একটি গণহত্যা।
এসময় তিনি জান্তার কাছে অর্থ, অস্ত্র এবং সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।