×

আন্তর্জাতিক

স্কটল্যান্ডের সৈকতে ৫৫ তিমির মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩, ০৯:৫৪ এএম

স্কটল্যান্ডের সৈকতে ৫৫ তিমির মৃত্যু
স্কটল্যান্ডের একটি সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা ৫৫টি পাইলট তিমির মৃত্যু হয়েছে। তবে কী কারণে তিমিগুলোর মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। পাইলট তিমির নামে তিমি শব্দটি থাকলেও তারা ডলফিন প্রজাতির প্রাণি। এই প্রজাতির ডলফিন সবসময় একসঙ্গে থাকে। পরিবার নিয়ে খুব সচেতন তারা। খবর বিবিসির। ব্রিটিশ ডাইভারস মেরিন লাইফ রেসকিউ চ্যারিটি (বিডিএমএলআর) নামক একটি সংস্থা ওই তিমিগুলোর সন্ধান পায়। বিডিএমএলআর জানিয়েছে, তাদের উদ্ধারকারী দল ওই সৈকতে পৌঁছার আগেই ওই ৫৫টি তিমির মৃত্যু হয়। তারা মাত্র ১৫টি তিমিকে জীবিত পেয়েছিল। পরে ওই ১৫টির মধ্যেও তিনটি মারা যায়। উদ্ধারকারী দল ১২টি তিমিকে ফের সমুদ্রে ফিরে যেতে সহায়তা করেন। এদের মধ্যে আটটি প্রাপ্তবয়স্ক এবং চারটি বাচ্চা বলে জানা গেছে। বিডিএমএলআর তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মৃত তিমিগুলোর পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে লিখেছে, ‘দুর্ভাগ্যবশত কেউই অগ্নিপরীক্ষা থেকে বাঁচতে পারেনি। তিমিদের ওই সৈকতে আটকে যাওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দলটি হয়তো কোনো নারী তিমিকে অনুসরণ করেছিল। বিডিএমএলআর বলেছে, ‘মৃত তিমির মধ্যে একটির যোনিপথে স্থানচ্যুতি লক্ষ্য করা গেছে। তাই সন্দেহ করা হচ্ছে যে, এক নারী তিমির সন্তান প্রসবের কারণে সৈকতের কাছাকাছি আসায় তাকে অনুসরণ করে পুরো দলটি আটকে গিয়েছিল। স্কটিশ মেরিন অ্যানিমেল স্ট্র্যান্ডিং স্কিমের অ্যান্ড্রু ব্রাউনলো বিবিসিকে বলেছেন, হতাহত প্রাণীর সংখ্যার দিক থেকে এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ঘটনা। তবে তিমিগুলো মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের জন্য কিছু তিমির নমুনা ও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পরে তিমিগুলো দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ডে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। পাইলট তিমি এই অঞ্চলে বেশি সংখ্যায় দেখা যায়। ১৯৮৮ সালে এই পাইলট তিমিদের বাঁচানোর জন্যই দ্য ব্রিটিশ ডাইভারস মেরিন লাইফ রেসকিউ চ্যারিটি সংস্থাটি তৈরি হয়েছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App