×

আন্তর্জাতিক

বিশ্ববাজারে কমেছে তেলের দাম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩, ০৮:১৮ এএম

বিশ্ববাজারে কমেছে তেলের দাম
বিশ্ববাজারে কমেছে তেলের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচক নিয়ে উদ্বেগ ও যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেলের মজুদ পরিস্থিতি এ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ফলে সরবরাহ সংকোচনের উৎকণ্ঠাও বাড়ছে। বাড়তি প্রভাবক হিসেবে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্ধিত সুদহার।

ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদহার বাড়িয়েছে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এ নিয়ে টানা ১৩ বারের মতো সুদহার বাড়াল ব্যাংকটি। নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বাড়িয়েছে সুদহার। প্রতিক্রিয়ায় দুই ধরনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামই কমেছে বাজারে।

আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম প্রতি ব্যারেল ১ ডলার ৮৫ সেন্ট বা ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭২ ডলার ২৯ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ১ ডলার ৮৬ সেন্ট বা ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৬৭ ডলার ৬৫ সেন্টে এসেছে।

জ্বালানি তেল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পিভিএমের কর্মকর্তা টমাস ভার্গা দাবি করেছেন, স¤প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া সিদ্ধান্তের পর জ্বালানি তেলের বাজারে উদ্বেগ বেড়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। মজুদ পরিস্থিতিও সামনে দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সুদের উচ্চহারের কারণে বেড়েছে ঋণসংক্রান্ত ব্যয়, যা ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। এ প্রভাব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। বছরের পরবর্তী সময়গুলোয় জ্বালানি তেলের চাহিদাসূচক নি¤œমুখী থাকতে পারে।

মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ার জেরোমি পাওয়েল সুদহার বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানান, চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত আরো দুই ধাপে ২৫ বেসিস পয়েন্টে (দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট) সুদহার বাড়ানো হতে পারে। খবরটি প্রকাশের পরই জ্বালানি তেলের দাম কমে যায়। অবশ্য এর আগে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)। কিন্তু করোনা মহামারির পরও চীনে প্রত্যাশিত হারে চাহিদা বাড়ছে না। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা।

বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নেতিবাচক মন্তব্যের জেরে প্রভাবিত হয়েছে ডলারের মান। ডলার শক্তিশালী হওয়ার মানে অন্য মুদ্রার জন্য জ্বালানি তেল আরো ব্যয়বহুল হয়ে ওঠা। বিষয়টি চাহিদার ক্ষেত্রে ঝুঁঁকি তৈরি করতে পারে। ঝুঁঁকির আশঙ্কা তৈরি করতে পারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা ও চাহিদা সূচকের নেতিবাচক চিত্র পরে সরবরাহকে সংকুচিত করে, যার নজির দেখা যায় মার্কিন প্রতিবেদনে। চলতি সপ্তাহে ইউএস ইনভেনটরি রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, জ্বালানি তেলের মজুত কমেছে ৩৮ লাখ ব্যারেল।

বাজার সংকোচনের পেছনে সৌদি আরবের উৎপাদন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তও একটা বড় কারণ। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওপেক প্লাসের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে প্রতি মাসেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমানোর চুক্তি করেছে দেশটি।

জোটের শীর্ষ উত্তোলক সৌদি আরব জানিয়েছে, আগামী জুলাইয়ে স্বেচ্ছায় দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন কমাবে। সে হিসাবে দৈনিক উত্তোলনের পরিমাণ নামবে দৈনিক ৯০ লাখ ব্যারেলে। জুলাইয়ের পরও এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির খাতসংশ্লিষ্টরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App