×

আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপ থেকে চিৎকার সাড়া দেবার কেউ নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম

সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপ থেকে চিৎকার সাড়া দেবার কেউ নেই

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়ায় সোমবারের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে এখনো পর্যন্ত ২১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হবার খবর নিশ্চিত হয়েছে।

ভূমিকম্প আঘাত হানার পর চারদিন অতিবাহিত হয়েছে। ফলে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।নিহতের এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তারা আশংকা করা হচ্ছে।

তবে এরই মধ্যে কিছু অলৌকিক ঘটনাও ঘটছে। ভূমিকম্পের চারদিন পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে ১০দিন বয়সী একটি শিশু এবং তার মাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, উদ্ধারকারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শিশুটিকে থার্মাল কম্বলে ঢেকে বের করে আনছেন। উত্তর সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই।

ইস্তাম্বুলের একজন তুর্কি সাংবাদিক ইব্রাহিম হাসকোলোলু বলেছেন, "লোকেরা এখনও [ধসে পড়া] ভবনের নিচে রয়েছে, তাদের সাহায্যের প্রয়োজন।" তিনি বিবিসি নিউজকে বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আটকে পড়া লোকজন তাকে এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের ভিডিও, ভয়েস নোট এবং তাদের লাইভ অবস্থান পাঠাচ্ছে।

তারা আমাদের বলছে যে তারা কোথায় আছে এবং "আমরা তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না," মি. হাসকোলোলু বলেছেন, তুরস্কের জন্য এখন প্রয়োজন সমস্ত আন্তর্জাতিক সহায়তা। বিধ্বস্ত শহরগুলোতে বহু মানুষ এখনও আশ্রয়হীন। তাদের কাছে নিরাপদ খাবার পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে, এই পরিস্থিতিতে ভূমিকম্পের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া আরো অনেক মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ডাব্লিউএইচও অনুমান করছে, তুরস্ক এবং সিরিয়াজুড়ে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তার জন্য জাতিসংঘের ছয়টি লরি সাহায্য নিয়ে এই প্রথমবারের মতো তুরস্ক থেকে সিরিয়া ঢুকেছে। এই প্রথম সিরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্য গেল। দুটি দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App