×

আন্তর্জাতিক

রাহুল ঘনিষ্ঠ নেতার সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্রের টাকার লেনদেন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২১ পিএম

রাহুল ঘনিষ্ঠ নেতার সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্রের টাকার লেনদেন

ছবি: সংগৃহীত

রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কংগ্রেস নেতা অলঙ্কার সাওয়াইকে এবার জেরা করল ইডি। তার বক্তব্য রেকর্ড করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। এদিকে এই মামলায় এর আগে তৃণমূলের মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দিন তিনেক আগে গোখলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে সাওয়াইকে জেরা করা হয়েছে। কিন্তু কে এই সাওয়াই?

সূত্রের খবর, তিনি প্রাক্তন ব্যাংক আধিকারিক। তিনি রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। বিগতদিনে কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন। এমনকী রাহুলের রিসার্চ টিমেও তিনি নেতৃত্ব দেন। গত ২৫ জানুয়ারিকে সাকেত গোখেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখনই সাওয়াইকে সমন পাঠানো হয়েছিল। ক্রাউড ফান্ডিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ তোলা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

গোখেলকে রিমান্ডে চাওয়ার সময় ইডির পক্ষ থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে জানানো হয়েছিল, গোখেলের অ্য়াকাউন্টে কীভাবে এক বছরে ২৩.৫৪ লাখ টাকা এসেছিল। সেব্যাপারে প্রশ্নও করা হয়েছিল। তখন গোখেল জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের অলঙ্কার সিওয়াই সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ার্ক ও অন্যান্য কনসালটেন্সির জন্য নগদে এই টাকাটা দিয়েছে।

এদিকে আদালতে জমা দেয়া রিমান্ড পেপারে ইডি জানিয়েছে গোখেলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, সাওয়াই কেনো তাকে এত টাকা নগদে দিয়েছিলেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে গোখেল জানিয়েছিলেন, একমাত্র সাওয়াই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। ইডির তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেস নেতার সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্রের এত ঘনিষ্ঠতা কীভাবে হল? তবে কি কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে তলায় তলায় কোনও বোঝাপড়া রয়েছে?

ইডি দাবি করেছে, গোখেলকে প্রশ্ন করা হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ার কাজ নিয়ে তাদের মধ্যে কি কোনও লিখিত চুক্তি হয়েছিল? সেই প্রশ্নের উত্তরে গোখেল জানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে কোনও লিখিত চুক্তি হয়নি। তাদের মধ্যে মৌখিক চুক্তি হয়েছিল। এমনকী ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, সাকেত গোখেল যখন তৃণমূলের মুখপাত্র ছিলেন তখনই এই বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছিল।

এদিকে সাওয়াইয়ের বয়ান ইতিমধ্য়েই নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে সাওয়াই এই ধরনের লেনদেনের বিষয়টি একেবারেই মানতে চাননি। প্রসঙ্গত গুজরাট পুলিশ প্রথমে এই গোখেলের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মামলা শুরু করেছিল। ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আদায় করা টাকা ব্য়ক্তিগত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে গোখেল টাকার অপব্যবহারের বিষয়টি মানতে চাননি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App