আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে পাল্টাপাল্টি গুলি ও গোলাবর্ষণে ৬ পাকিস্তানি ও এক আফগান বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পূর্ব বেলুচিস্তান প্রদেশের চামান সীমান্ত পারাপার এলাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।

কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলায় ৬ জন বেসামরিক লোক নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন দাবি করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলছে, ‘আফগানিস্তানের সীমান্ত বাহিনী বিনা প্ররোচনায় চামান সীমান্ত ক্রসিংয়ে ‘কামান ও মর্টারসহ ভারি অস্ত্রে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে।’ চামান সীমান্ত ক্রসিং পাকিস্তানের পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশকে আফগানিস্তানের দক্ষিণ কান্দাহার প্রদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করে।

অন্যদিকে, আফগান নিরাপত্তাবিষয়ক সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানি বাহিনী, আফগান বাহিনীকে সীমান্তের পাশে একটি নতুন চেকপোস্ট নির্মাণ বন্ধ করার দাবি করার পর সংঘর্ষ শুরু হয় দু’পক্ষের।

কান্দাহার পুলিশের মুখপাত্র হাফিজ সাবের জানান, একজন আফগান বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। আহতদের মধ্যে ৩ জন বেসামরিক লোক।

চামানের একটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক আখতার মোহাম্মদ জানান, ২৭ জনকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ৬ জন মারা যান। আরও সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আফগানিস্তানের কান্দাহারের গভর্নরের একজন মুখপাত্র আতাউল্লাহ জায়েদ, আফগান সীমান্তে নতুন চেকপয়েন্ট নির্মাণ নিয়ে মূলত পাকিস্তানি ও অফগান বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানান।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের চামান ক্রসিংয়ে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে সম্প্রতি। এসব ঘটনা আফগানিস্তান শাসকদের সঙ্গে পাকিস্তানের উত্তেজনা বাড়িয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রধান সীমান্ত ক্রসিং হলো চামান। তবে কান্দাহার প্রদেশের এক আফগান কর্মকর্তা নূর আহমেদ এ ঘটনার পর জানিয়েছেন, ঘটনাটি দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে এবং দুই পক্ষ বৈঠক করার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।