×

আন্তর্জাতিক

মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২২, ০৯:০০ এএম

মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্র। ফাইল ছবি

আর মাত্র ৯ দিন বাকি আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের। এর মধ্যে দেশটির পুলিশ এই নির্বাচনকে ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক’ ইভেন্ট হিসেবে উল্লেখ করেছে। সহিংসতার আশঙ্কায় নির্বাচনের আগে ও পরে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে ইতোমধ্যে বিশেষ ডিউটিও বণ্টন করেছে পুলিশ বিভাগ।

আইন প্রয়োগকারী সূত্রের বরাত দিয়ে নিউজউইক বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পুলিশ এবং নির্বাচন কর্মকর্তারা আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতার আশঙ্কায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা মনে করছেন, পরাজিত প্রার্থীরা পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করতে পারেন অথবা ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। কিছু কিছু প্রার্থী ও সমর্থকরা এখনই অনলাইনে আগাম আশঙ্কার সংবাদ প্রচার করছেন।

কর্মকর্তারা মনে করছেন, ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয়ের পর থেকে তার দলে নির্বাচনে অবিশ্বাস বেড়েছে এবং এটি ৮ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে আরো তীব্র হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান জন কোহেন নিউজউইককে বলেছেন, হুমকির পরিবেশটি আমার পুরো ৩৮ বছরের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বিপজ্জনক। এটি এমন একটি হুমকি যা সমগ্র জাতির স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

এই সপ্তাহে নিউইয়র্ক পি অলিসের গোয়েন্দা ব্যুরোর জারি করা একটি বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক সমাবেশ, ভোট কর্মী এবং ভোটদানের কেন্দ্রগুলো সরকারবিরোধী সহিংসতার লক্ষ্য হতে পারে। ১৯ অক্টোবর একটি অনলাইন ব্রিফিংয়ে, আমেরিকার মেজর কাউন্টি শেরিফ এবং মেজর সিটিস চিফস অ্যাসোসিয়েশন ৫৫০ জনের বেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্বাচনী ঝুঁকির বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। যার মধ্যে ভোটের স্থান এবং নির্বাচনী কর্মীদের শারীরিক হুমকি রয়েছে। ব্রিফিংয়ে এফবিআই এবং ডিএইচএস-এর সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি বা সিআইএসএর উপস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। নির্বাচনী কর্মীদের বিরুদ্ধে হুমকি মোকাবিলা করার জন্য গত বছর একটি বিশেষ ফেডারেল টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সারাদেশে এই ধরনের হুমকির ১,০০০ টিরও বেশি রিপোর্ট পেয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এর ১১ শতাংশই এফবিআই তদন্তের ফলাফলে এসেছে। আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য শারীরিক নিরাপত্তা পরিবেশ সম্ভবত যে কোনো আগের নির্বাচনী বছরের তুলনায় অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।

কিছু রাজ্যে ইতোমধ্যেই প্রাথমিক ভোটগ্রহণ চলছে। একাধিক বিশেষজ্ঞ নিউজউইককে বলেছেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়টি হবে ভোট শেষ হওয়ার পরপরই। যখন অনানুষ্ঠানিক ফলাফল বের হতে শুরু করবে এবং প্রাথমিক রিপোর্টিং অনলাইনে প্রচারিত হতে শুরু করবে। নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হল ‘ভোটের পরের বিশৃঙ্খলা’।

গত মাসে মনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জাতীয় জরিপে দেখা গেছে, ২৯ শতাংশ আমেরিকান এবং ৬১ শতাংশ রিপাবলিকান বিশ্বাস করেন যে রাষ্ট্রপতি বাইডেন ভোটার জালিয়াতির কারণে জিতেছেন।

এবারের নির্বাচনে পলিটিকোর জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের দল প্রতিনিধি পরিষদে ৮২ শতাংশ ভোট পেতে পারে। এবং সিনেটে উভয় দলের হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। নিউজউইক বলছে, নির্বাচনের ফলাফল আগামী দুই বছর বাইডেনের মাথা ব্যথার কারণ হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App