‘রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস-এ সুন্দর ভবিষ্যতে প্রয়োজন দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং যথাযথ চিকিৎসা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রিউমাটয়েড আর্থাইটিস সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। 

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টায় দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে রিউমাটোলোজি বিভাগ।

সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শেখ রাসেল ফোয়ারার সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বটতলা, এ-ব্লক প্রদক্ষিণ করে টিএসসি হয়ে ডি ব্লকে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়া এ ব্লকের মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন: ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত

শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যখনই কোন মানুষের শরীরে সন্ধিতে ব্যথা অনুভব করবেন, তখনই রিউমাটোলোজি বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। সেখানকার পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। রোগ ধরা পরলে চিকিৎসকের নির্দেশনা মোতাবেক চলাচল করলে এ রোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ব্যথা নিয়ে ঘরে পরে থাকলে ক্ষতি হবে। এটি এমন রোগ, যা শরীরের অন্যান্য অংশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এমন রোগীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুচিকিৎসা পাবে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা না করলে মানুষ পঙ্গু হয়ে ঘরে বসে থাকবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়। 

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগীরা ঘরে বসে ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকে। নিজেরা ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ব্যথার ওষুধ খেলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত এমনকি কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে। বাংলাদেশের ১৭ হাজার রোগী কিডনির ডায়ালাইসিস নিয়ে থাকেন এবং প্রায় তিন হাজার রোগী কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়।

আরো পড়ুন: লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলোজি বিভাগ সুনাম বয়ে আনছে। তারা বেশ ভাল ভাল গবেষণার কাজ করছে। তাদের এ গবেষণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছে।

শোভাযাত্রায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রিউমাটোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ্, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক (সার্জিক্যাল অনকোলোজি) ডা. মো. রাসেল, রিউমাটোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) সৈয়দ জামিল আব্দাল, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।