×

স্বাস্থ্য

১৮ টি প্রতিষ্ঠান ভেন্টিলেটর প্রোটোটাইপ দিয়েছে

Icon

nakib

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২০, ০৬:৫৪ পিএম

১৮ টি প্রতিষ্ঠান ভেন্টিলেটর প্রোটোটাইপ দিয়েছে

ভেন্টিলেটর

করোনা মহমারি মোকাবেলায় জরুরী ভিত্তিতে ভেন্টিলেটর উৎপাদনের চেষ্টা করছে সরকার।  এখন পর্যন্ত ১৮টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নানা ধরনের ভেন্টিলেটর প্রোটোটাইপ জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)-এ ভেন্টিলেটরগুলো জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জুনাইদ আহমেদ পলক। ভেন্টিলেটার হলো এমন একটি যন্ত্র যা শ্বাসকষ্টের রোগীদের বিকল্প পন্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা যায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ফুসফুস অনেক ক্ষেত্রেই ঠিক মতো কাজ করে না। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে অনেকে রোগী মারা যাচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন, ভেন্টিলেটরগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে, যাচাই-বাছাই হয়ে গেলে সেগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচিতগুলোকে ক্লিনিক্যাল টেস্টের জন্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে জমা দেওয়া হবে। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় দেশীয় প্রযুক্তি কোম্পানি ওয়ালটনের তৈরি করা ভিন্ন তিন মডেলের তিনটি ভেন্টিলেটরের প্রোটোটাইপ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কাছে হস্তান্তরের জন্য। বুধবার ভেন্টিলেটরগুলো ক্লিনিক্যাল টেস্টের জন্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে জমা দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পলক। তিনটি ভেন্টিলেটরের মধ্যে দুটি ওয়ালটনের নিজস্ব মডেল আর একটি করা হয়েছে বিশ্বখ্যাত মেডিকেল ডিভাইস কোম্পানি মেডিট্রনিক্সের নকশা অনুসারে। ডব্লিউপিবি-৫৬০ মডেলের এই ভেন্টিলেটরটি তৈরি করতে মেডিট্রনিক্সের প্রযুক্তিগত সহায়তাও পেয়েছে ওয়ালটন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ডব্লিউপিবি-৫৬০ মডেলের ভেন্টিলেটরটি খুবই আধুনিক। ভেন্টিলেটরটি মেডিট্রনিক্সের নকশা অনুসারে করা হয়েছে। এছাড়াও তৈরির পুরো প্রক্রিয়ায় তারা এটি পর্যবেক্ষণ করেছে। কিছু যন্ত্রাংশ পেতেও মেডিট্রনিক্সের সহায়তা নিতে হয়েছে। গত ৩১ মার্চ একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেডিট্রনিক্স তাদের পিবি-৫৬০ মডেলের ভেন্টিলেটরের পেটেন্ট, ডিজাইন ও সোর্স কোড তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। ওয়ালটনের এই ভেন্টিলেটরগুলো কোনো হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল টেস্টের জন্যে দেওয়া হবে বা কতদিন এর ক্লিনিক্যাল টেস্ট চলবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কেউ। তবে ওই ক্লিনিক্যাল টেস্টের ওপরেই নির্ভর করছে ভেন্টিলেটরগুলোতে কোনো পরিবির্তন-পরিমার্জন করতে হবে কিনা। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ক্লিনিক্যাল টেস্টিংয়ের পরেও আর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা কোনো সংস্থার অনুমোদন লাগবে কিনা সেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঠিক করবে। এই প্রযুক্তি পণ্যটির মূল্য কতো হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি ওয়ালটন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে এখন যে দামে ভেন্টিলেটর বিক্রি হচ্ছে অবশ্যই এগুলো তার চেয়ে অনেক কম দামের হবে, যদিও মানের দিক দিয়ে অনেক উচ্চ স্থানে থাকবে। বর্তমানে চীন থেকে একটি ভেন্টিলেটর আমদানি করতে অন্তত সাত লাখ টাকা লাগে। ইউরোপ থেকে আনতে খরচ হয় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মাত্র এক হাজারের মতো ভেন্টিলেটর আছে। আর অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে তাতে এখন ভেন্টিলেটার আমদানির কোনো সুযোগ নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App