গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৪০ পিএম
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে কয়েকটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিএইচআরএফ এর মানববন্ধন। ছবি: ভোরের কাগজ
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে কয়েকটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিএইচআরএফ এর মানববন্ধন।
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে নাগরিক টেলিভিশনের রিপোর্টার ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের করা মামলা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএইচআরএফ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বির সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ কমল । বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি সেবিকা দেবনাথ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিখিল মানখিন, সদস্য ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক কাউসার আজম, রিপোর্টার্স এগেইনেস্ট করাপশনের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
রাশেদ রাব্বি বলেন, আমাদের সহকর্মী আনোয়ার হোসেন ছাড়াও আরো পাঁচটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ১২৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করা হয়েছে। আনোয়ারের অপরাধ কি? রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী কোন রোগী চিকিৎসা নিতে অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার শিকার হলে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে অভিযোগ দিতে পারেন। সেই অভিযোগই আনোয়ার তুলে ধরেছেন। এখানে তার ব্যক্তিগত কোন মতামত নেই। কিন্তু সরকারের সাহায্যপুষ্ট একটি হাসপাতাল তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যে রোগী অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। আমরা সেই চিকিৎসক ও তার প্রতিষ্ঠানকে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
[caption id="attachment_458963" align="aligncenter" width="1420"] সংবাদ প্রকাশের জের ধরে কয়েকটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিএইচআরএফ এর মানববন্ধন।[/caption]নিখিল মানখিন বলেন, একজন সাংবাদিক যখন প্রতিবেদন তৈরি করেন তখন তিনি আপন পর ভাবেন না। বস্তুনিষ্ট সংবাদ তৈরি করেন। আনোয়ার হোসেনের রিপোর্ট একটি স্বার্থান্বেষী মহলে আঘাত হানায় এ মামলা করেছে। মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক মামলার নিন্দা জানাচ্ছি।
সেবিকা দেবনাথ বলেন, সাংবাদিকদের জাতির বিবেক বা চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। কিন্তু সাংবাদিকদের করা কোন রিপোর্ট যখন কারো স্বার্থে আঘাত লাগে তখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ফেসবুকে গালিগালাজ করা হয়। কুলাঙ্গারও বলেন। শুধু আনোয়ারই নয় বেশ কযেকটি গণমাধ্যমের নামেও মামলা করেছে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল। এই উদ্দেশ্যমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের এই মুখোমুখি অবস্থান নিরোসনেও সাংবাদিক ও চিকিৎসক সংগঠনগুলোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
কাউসার আজম বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করলে আমাদের ওপর খড়ক নেমে আসে। সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের কন্ঠরোধ করতে স্বার্থান্বেষী মহল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে। আনোয়ার হোসেনসহ যেসব গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।