×

স্বাস্থ্য

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ: এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২২, ০৮:২৩ এএম

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ: এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত

প্রতীকী ছবি

মানবদেহের মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে, ত্বক, অন্ত্র, লিভার, কিডনি, হাড়সহ যে কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে যক্ষ্মার সংক্রমণ হতে পারে। তবে বাংলাদেশে ফুসফুসে যক্ষ্মা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে সরকারের নজরও বেশি।

এদিকে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ও চেস্ট এন্ড হার্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে জানানো হয়, দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রোগী ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে শুধু অ্যাজমা রোগেই ভুগছেন প্রায় ৭০ লাখ মানুষ। এর মধ্যে যক্ষ্মাও অন্তর্ভুক্ত।

চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মির্জা মোহাম্মদ হিরন বলেন, বায়ুদূষণের কারণে প্রথমে আক্রান্ত হয় ফুসফুস ও শ্বাসনালি। অব্যাহত বায়ুদূষণে অ্যাজমা, অ্যালার্জি, শ্বাসনালি ও ফুসফুসে নিউমোনিয়া সংক্রমণ, সিওপিডি ও ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন কার্ডিওভাস্কুলার রোগও বেড়ে চলেছে। পরিবেশ দূষণ, জীবনযাত্রা প্রণালি, খাদ্যাভাস ইত্যাদির কারণে বক্ষব্যাধি ও হৃদরোগ আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যক্ষ্মার জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। দেহে জীবাণু প্রবেশ করলেও সবাই এ রোগে আক্রান্ত হয় না। সংক্রমিত জনসংখ্যার ৫ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। সাধারণত ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সি মানুষই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।

তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তবে বেশকিছু চ্যালেঞ্জও রয়ে গেছে। পুষ্টিহীনতা, বস্তি এলাকার ভাসমান এবং অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে বসবাসকারী নগর ও মহানগরীর জনগোষ্ঠী যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সফলতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। তথ্য বলছে, অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩ গুণ বেশি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডায়াবেটিস, এইচআইভি আক্রান্ত রোগী, তামাক গ্রহণ, অবহেলা ও অসচেতনতা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি বাংলাদেশ এর মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৩ সালে পৃথিবীতে যক্ষ্মা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মাকে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে। আর ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৪০ মিলিয়ন মানুষকে যক্ষ্মার চিকিৎসা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে বর্তমানে কাজ করছে সংস্থাটি। যক্ষ্মা নামক এই অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি যক্ষ্মার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এ প্রেক্ষাপটে আজ ২৪ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। ১৮৮২ সালের এ দিনে ড. রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার ও এ রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের পথ উন্মোচন করেন। তাকে স্মরণ করেই এ দিন যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়ে থাকে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App